আগরতলায় তৃণমূলের ১৬ তারিখের মিছিলের অনুমতি দিল না ত্রিপুরা পুলিশ। ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় ১৫ সেপ্টেম্বর মিছিলের অনুমতি না পেয়ে তার পরের দিন মিছিলের জন্য আবেদন করেছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় মিছিল করবেন ১৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ১৬ তারিখের মিছিলের অনুমতি দিল না ত্রিপুরা পুলিশ।
পরপর দু’দিন তৃণমূলের মিছিলের অনুমতি না মেলায় সোমবার রাতেই টুইট করে ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকারের সমালোচনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে এ ভাবে আটকানো যাবে না বলেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটে লেখেন, 'ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা নিয়ে এতটাই ভীত বিজেপি, যে কোনও ভাবে ঠেকাতে মরিয়া। এদের সরকারি অভ্যন্তরীণ সার্কুলারে দেখছি দরকারে গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। ওরা যত বাধা দেবে, যত রকম কারণ দেখাবে, প্রমাণ হবে ওরা ভয় পাচ্ছে। ওরা জানে মানুষ তৃণমূলের পাশে।'
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃনমূলের সভাপতি আশিসলাল সিংহ বলেন, "আসলে ওরা এতই ভয় পেয়েছে যে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিছিল করতে দিতে ভয় পাচ্ছে। কারণ, ত্রিপুরায় বিজেপির পায়ের মাটি সরে গিয়েছে। অভিষেক এখানে মিছিল করলে সেই মাটি আরও দ্রুত হারে সরে যাবে। তাই অগণতান্ত্রিক কায়দায় আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।" এমন বাধা পেয়েও যে তারা পিছপা হবেন না তাও জানিয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্ব। আবারও মিছিল কর্মসূচির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের আশিস। প্রসঙ্গত, ১৫ তারিখের মিছিলের অনুমতি বাতিল করার কারণ প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, নিয়মানুযায়ী মিছিলের ৭২ ঘণ্টা আগে লিখিত অনুমতি নিতে হয়। জানাতে হয়, মিছিল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। কারা থাকবেন মিছিলে, কোন পথে হবে মিছিল, তা লিখিত ভাবে পুলিশকে জানাতে হয়। কিন্তু, আবেদনের ক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি তাই মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। আর ১৬ সেপ্টেম্বর মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ১৭ তারিখের বিশ্বকর্মা পুজোর কথা বলা হয়েছে।