purulia

৩৫ বছরের পুরনো চন্দন গাছ চুরি বিট অফিস থেকে! বন দফতরে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের

স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে দফতর খোলার সময় বনকর্মীরা দেখতে পান, চন্দন গাছটি চুরি গিয়েছে। সেই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এর পরেই গ্রামবাসীদের একাংশ বিট অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঘমুণ্ডি শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৫৪
Share:

বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। নিজস্ব চিত্র।

বিট অফিস চত্বর থেকেই চুরি গেল প্রায় ৩৫ বছরের পুরনো চন্দন গাছ। খবর এলাকায় চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বন দফতরের অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি রেঞ্জের বুড়দা বিট অফিসে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, বন দফতরের অফিস থেকেই যদি গাছ চুরি যায়, তা হলে ওই দফতরে কর্মরতরা কী ভাবে জঙ্গল রক্ষা করবেন? তাঁদের আরও দাবি, বিট অফিসের কর্মীরা যুক্ত না থাকলে এই কাজ সম্ভব নয়। চুরি যাওয়া গাছটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে বন দফতরের তরফে। বাঘমুন্ডি থানাও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে দফতর খোলার সময় বনকর্মীরা দেখতে পান, চন্দন গাছটি চুরি গিয়েছে। সেই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এর পরেই গ্রামবাসীদের একাংশ বিট অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তালাও লাগিয়ে দেওয়া হয় দফতরের মূল ফটকে। শঙ্কর তন্তুবায় নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘আজ সকালে খবর পাই, বিট অফিসের ভিতর থেকে ৩৫ বছরের পুরাতন চন্দন গাছটি চুরি হয়ে গিয়েছে। দফতর জড়িত না থাকলে কী ভাবে চুরি হল? রাতে এখানে পার্টি হয়েছে। মদের বোতল পড়ে রয়েছে আশপাশে।’’ ঘটনার তদন্তের দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দফতরের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরুলিয়া বন বিভাগের ডিএফও দেবাশিস শর্মা বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, গতকাল রাতে একটি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। আমরা এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছি। কাল রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের সব কর্মী হাতি তাড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। তবু আমাদের তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে। এলাকায় থাকলে চুরি যাওয়া গাছটি উদ্ধার করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement