purulia

ওজন কমাতে বলেছিলেন মমতা, পকোড়াপ্রেমী সুরেশ এখন অনাস্থার মুখে, চাপে ঝালদার তৃণমূল পুরবোর্ড

ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসন। গত পুরভোটে ওই পুরসভায় পাঁচটি আসন জেতে তৃণমূল, পাঁচটি কংগ্রেস ও দু’টি আসনে জয়লাভ করে নির্দল প্রার্থীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২২ ২০:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রশাসনিক সভায় তাঁর বপু দেখে চোখ কপালে উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আঁতকে উঠে বলেছিলেন, ‘‘এত বড় মধ্যপ্রদেশ!’’ ঝালদা পুরসভার সেই পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে আনা হল অনাস্থা প্রস্তাব। বোর্ড গঠনের মাস ছয়েকের মধ্যে পাঁচ কংগ্রেস ও এক নির্দল কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে মহকুমাশাসক ও জেলা প্রশাসনের দফতরে অনাস্থার আবেদন জমা দিলেন। যদিও তিনি কোনও চিঠি পাননি বলেই জানিয়েছেন সুরেশ।

Advertisement

ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসন। গত পুরভোটে ওই পুরসভায় ৫টি আসন জেতে তৃণমূল, ৫টি কংগ্রেস ও ২টি আসনে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থীরা। ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেওয়ায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। চেয়ারম্যান হন সুরেশ। বোর্ড গঠন হওয়ার আগেই খুন হন ওই পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর টানাপড়েন চলে। পরে উপনির্বাচনে অবশ্য কংগ্রেসই জেতে ওই ওয়ার্ড থেকে। এ বার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিল সোমনাথ কর্মকার ৫ কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।

এ প্রসঙ্গে ঝালদার মহকুমাশাসক ঋতম ঝাঁ বলেন, ‘‘অনাস্থার আবেদনের একটি কপি পেয়েছি আমি।’’ যদিও সুরেশ বলেন, ‘‘আমি কোনও অনাস্থার চিঠি পাইনি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement