রানীগঞ্জ-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কে চলছে অবরোধ। ছবি: তন্ময় দত্ত
জাতীয় সড়ক সংস্কার না-হওয়ায় নলহাটি থেকে কাঁটাগড়িয়া পর্যন্ত দশটি গ্রামের মানুষ জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন। শুক্রবার দুপুর ২টো থেকে অবরোধ শুরু হয়। তিন ঘণ্টা অবরোধের পরে পুলিশ, প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। অবরোধের ফলে রাস্তায় আটকে পড়ে বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি। অবরোধে ছিল স্কুল পড়ুয়া থেকে বয়স্ক মানুষজন।
অবরোধকারীরা জানান, রানীগঞ্জ-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়কে নলহাটি থেকে কাঁটাগড়িয়া পর্যন্ত রাস্তার কোনও গাড়ি নিয়েই যাওয়ার উপায় নেই। বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত। রাস্তায় পিচের কোনও আস্তরণ নেই। গাড়ি চলাচল করলে যে পরিমাণ ধুলো উড়ছে তাতে সামনের রাস্তা দেখা যায় না। নিত্যযাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। দুর্ঘটনাও ঘটছে। এই নিয়ে বহু বার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেও রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
অবরোধকারীদের দাবি, বাধ্য হয়ে গোপালপুর বাসস্ট্যান্ড, কলিঠা, মাঠ কলিঠা, ভেলিয়ান মোড়, শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড, আমগাছি ফতেপুর বাসস্ট্যান্ড, কয়থা, কাঁটাগড়িয়া, নাকপুর চেকপোস্টের কাছে অবরোধ করা হয়। গ্রামের মহিলা, পুরুষ রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ শুরু করেন। অবরোধ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ছিল বলেও দাবি। সেলিম বিবি, নুরঅবসা বিবিরা বলছেন, ‘‘রাস্তার ধুলোয় ঘর ঢেকে যাচ্ছে। রান্নায় ধুলোর আস্তরণ পরে যাচ্ছে। ছোটদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে রাস্তা মেরামত করতেই হবে।’’
এ দিকে, অবরোধে হয়েছে দুর্ভোগও। বাসের যাত্রী আলোক গোস্বামী বলেন, ‘‘টানা তিন ঘণ্টা বাসের মধ্যে আটকে আছি। রাস্তার অবস্থা বেহাল সেটা সত্যি। কিন্তু, অবরোধ করে এই সমস্যার সমাধান হবে কি?’’ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে নিশিকান্ত সিংহ বলেন, ‘‘নলহাটি থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত অনুমোদন না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। রাজ্য সরকারকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অনেকের অসুবিধে হচ্ছে সেটি ঠিক। তবে অতিরিক্ত
পণ্য নিয়ে যাওয়ার ফলে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। প্রশাসনকে অবিলম্বে এই অতিরিক্ত পণ্য বহনকারী যানবাহন বন্ধ করতে হবে।’’