রাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। — ফাইল চিত্র।
নিজের এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে এ বার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। দিন কয়েক আগে বিদ্যুৎকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তাঁর নামও রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ। রাজ্যপাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর। সেই পদের কথা উল্লেখ করেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন উপাচার্য।
গত শনিবার বোলপুরের কঙ্কালীতলায় একটি দলীয় সভায় যোগ দিয়ে উপাচার্যকে নানা বিষয়ে আক্রমণ করেন বীরভূমের জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল। নানুরের ওই তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এখনও সময় আছে, শুধরে যান। না হলে কাজল ঝড় উঠবে। আর জেনে রাখুন, আমি যেটা বলি, সেটা করে দেখাই।’’ তার প্রেক্ষিতেই সোমবার রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছেন বিদ্যুৎ।
উপাচার্য নিজের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথাও চিঠিতে লিখেছেন। এ বিষয়ে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কাজল শেখের ওই বক্তব্যই প্রমাণ করে পরিবারের পাশাপাশি আমার উপরেও হামলার আশঙ্কা রয়েছে।’’ ‘অপ্রত্যাশিত’ কোনও ঘটনা ঘটার আগে রাজ্যপালকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবার অনুরোধও করেছে বিদ্যুৎ।
কাজল যদিও জানিয়েছেন, তিনি কাউকে হুমকি দেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি কাউকে হুমকি দিইনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকের আন্দোলনের অধিকার আছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতন বাঙালির আবেগ। উনি তাতে ঘা দিয়েছেন। উনি অমর্ত্য সেনকেও ছাড়েননি। ওঁর পাশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়ানোয় তাঁকেও কুকথা বলেছেন। পৌষ মেলা, বসন্ত উৎসব বন্ধ করেছেন। এর পর ওঁর প্রতি আমাদের যে ধরনের ভালবাসা থাকা উচিত সেটা সকলে বুঝতে পারছেন। আন্দোলন করা তো খারাপ নয়। এত ভয় পাওয়ার কী আছে?’’
সম্প্রতি বিশ্বভারতীর ‘অবনমনের’ জন্য প্রাক্তন উপাচার্য, ছাত্র, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের দায়ী করেছিলেন বিদ্যুৎ। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই আবহে উপাচার্যকে আক্রমণ করেন কাজল। এ বার কাজলের হুঁশিয়ারি নিয়ে পাল্টা পদক্ষেপ বিদ্যুতের।