—ফাইল চিত্র।
নতুন বছরের প্রথম দিনই জিন্স ও রঙিন পোশাক পরে কয়েক জন পড়ুয়ার অতিথি বরণ নিয়ে বিতর্ক দানা বেধেছে বিশ্বভারতীতে। সেই ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। সোমবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে জানানো হয়েছে যে, উপাচার্য গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘‘আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আয়োজকেরা এই ধরনের বিচ্যুতির পুনরাবৃত্তি যাতে না করেন, তা সুনিশ্চিত করবেন।’’
রবিবার বিশ্বভারতী লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন উপাচার্য-সহ বেশ কয়েক জন অতিথি। সেখানে অতিথি বরণের সময় দুই পড়ুয়ার এক জন জিন্স ও এক জন রঙিন পোশাক পরেছিলেন। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ।
২০২২ সালে বিশ্বভারতীর শিল্প উৎসবে আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি সাদার বদলে নীল পাঞ্জাবি পরে আসায় তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁকে অনুষ্ঠান মঞ্চে বসার অনুমতি দেননি। যা ঘিরে সেই সময় বিতর্ক হয়। বিশ্বভারতীর তরফে পরের দিন প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে সকলের সাদা পোশাক পরে যোগদানই রীতি।
রবিবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া শুভদীপ দে, বন্যা সাহা বলেন, “মনে হচ্ছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য যেন হারিয়ে যাচ্ছে। বিআর অম্বেডকরের মতো ব্যক্তির জন্মদিনে বিশ্বভারতীতে এটা আশা করা যায় না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মী, শিক্ষকেরাও বলেন, “প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতী যেখানে পোশাক বিধি মেনে চলে, সেখানে এমন অনুষ্ঠানেও পোশাক বিধি মানা উচিত ছিল।”
প্রবীণ আশ্রমিক তথা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘বিভিন্ন অনুষ্ঠান, উৎসবে বিশ্বভারতীতে বরাবরের রীতি সাদা পোশাক পরার, যা নিয়ে আগে অনেক বিতর্কও হয়েছে। তাই সেই পোশাক বিধি মেনে চলা উচিত বলা আমার মনে হয়।’’