অসুস্থ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অসুস্থ। তাঁকে দেখতে গিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন চিকিৎসক এবং নার্সরা। পরিস্থিতি এমন হয় যে বিক্ষোভের জেরে ফিরে যেতে হয় তাঁদের। এমনকি ফিরে যায় অ্যাম্বুল্যান্সও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জানা যায়, উপাচার্য অসুস্থ। তাঁকে দেখতে বিকেল পাঁচটা নাগাদ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে যান কয়েক জন চিকিৎসক এবং নার্স। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে থেকে বিশ্বভারতীর অধীনস্থ পিএম হাসপাতাল থেকে ওই চিকিৎসক এবং নার্সদের পাঠানো হয়েছিল উপাচার্যকে দেখতে। গত শুক্রবার রাত থেকে উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতার সামনে চলছে পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার সেই অবস্থান সপ্তম দিনে পড়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সে চেপে চিকিৎসক এবং নার্সরা পূর্বিতার সামনে পৌঁছলেই স্লোগান দিতে শুরু করেন ছাত্ররা।
ছাত্রছাত্রীদের দাবি, চিকিৎসক এবং নার্সদের সঙ্গে ছাত্রদেরও দুই প্রতিনিধিকে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দিতে হবে। তাতেই বাধা দেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাড়ির সামনে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা। বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর, চিকিৎসক এবং নার্সরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রারের তরফে তাঁদের ডাকা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের অবস্থান স্থলে যান আশ্রমিকরা। তঁদের সঙ্গে ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের আত্মীয় শান্তভানু সেন। বৃহস্পতিবার ১০-১২ জন আশ্রমিক যান সেখানে। তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের হাতে কিছু অর্থও তুলে দেন। বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার তার শুনানির সম্ভাবনা। আন্দোলনকারীদের অন্যতম সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘আদালতের রায় মাথা পেতে নেব। তবে উপাচার্যের অভিযোগ মিথ্যা। তার তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’’