BJP

Shyamaprasad Mukherjee: ‘গুপ্তধন’-এর সন্ধান! বাঁকুড়ার নেতা শ্যামাপ্রসাদের জমিই ৫০ কোটি টাকার, লকারে সোনা আর সোনা

নামে-বেনামে বহু জমি। নিজের তো বটেই, বেনামি অ্যাকাউন্টেও রাখা টাকা এবং লকারে গয়না। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।

Advertisement

নিজস্ব চিত্র

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৩০
Share:

বাঁ দিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ডান দিকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রামশঙ্কর মহান্তিকে। —নিজস্ব চিত্র।

নামে-বেনামে বহু জমি। নিজের তো বটেই, বেনামি অ্যাকাউন্টেও রাখা টাকা এবং লকারে গয়না। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বিষ্ণুপুর টেন্ডার দুর্নীতি-কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। প্রাক্তন মন্ত্রীর সহযোগী রামশঙ্কর মহান্তিকে জেরা করে শ্যামাপ্রসাদের সম্পত্তি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে সে সম্পর্কে বিশদে জানতে তাঁকে আরও জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার রামশঙ্করকে তোলা হয় বিষ্ণুপুর আদালতে। তাঁকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

বিষ্ণুপুর পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি-কাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই শ্যামাপ্রসাদের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছে পুলিশ। রামশঙ্করকে জেরা করে এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন মন্ত্রীর নামে কেনা ২২টি জমির সন্ধান মিলেছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। বিষ্ণুপুর তো বটেই, বাঁকুড়া শহরেও শ্যামাপ্রসাদের জমি কেনা রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। রামশঙ্করকে নিয়ে সেই জমিগুলি চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও বিষ্ণুপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের শাখায় রামশঙ্করের নামে ভাড়া নেওয়া লকারে শ্যামাপ্রসাদের কী পরিমাণ গয়না রয়েছে তা জানতেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যোগাযোগ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গেও।

তদন্তকারীরা আরও জেনেছেন, শ্যামাপ্রসাদ শুধু নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই নয়, কোটি কোটি টাকা জমা করেছেন তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ের অ্যাকাউন্টেও। পরিবারের অন্যান্যদের নামেও কেনা হয়েছে একাধিক জমি। সেই সম্পত্তির উৎস জানতে বুধবার রাতে প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়েকে বিষ্ণুপুর থানায় তলব করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে প্রাক্তন মন্ত্রীর স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ে টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement