Sonajhuri forest

সোনাঝুরি হাটে বসা নিয়ে বিবাদ

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবারও চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করে শান্তিনিকেতনের খোয়াইয়ের হাট। আগেকার মতো আবারও পর্যটকেরাও আসতে শুরু করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৯
Share:

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে বচসা থামাতে এসেছে পুলিশ। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

হাটে হস্তশিল্পীদের বসানোকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তেজনা ছড়ালো শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবারও চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করে শান্তিনিকেতনের খোয়াইয়ের হাট। আগেকার মতো আবারও পর্যটকেরাও আসতে শুরু করেছেন। এ দিন বিবাদের সূত্রপাত হয় হাটে বসাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বনেরপুকুরডাঙা এলাকার কিছু হস্তশিল্পী আদিবাসী মহিলা হাটে বসতে যান। কিন্তু হাট কমিটির তরফে তাঁদের বসতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হাট কমিটির পাল্টা দাবি, হাটের নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে। তারপরও জোর করে হাটে তাঁদের বসানোর চেষ্টা চলছিল বলে দাবি কমিটির।

বনেরপুকুরডাঙার ওই বাসিন্দাদের দাবি, বারবার তাঁরা হাটে বসে ব্যবসা করার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু হাট কমিটি কোনও ভাবেই স্থানীয় ওই মহিলাদের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে এ দিন দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

ওই ঘটনা ঘিরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সোনাঝুরি বেড়াতে আসা পর্যটকেরা। এর আগেও একাধিকবার হাটে বসাকে কেন্দ্র করে হাট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বচসা থেকে শুরু করে হাতাহাতির মতো ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয়দের অনেকের মত, যে উদ্দেশ্য নিয়ে শনিবারে সোনাঝুরির হাট শুরু হয়েছিল, দিন দিন ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে আজ সেই উদ্দেশ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। বনেরপুকুরডাঙার বাসিন্দা রাম সোরেন, সোমা হেমব্রমদের ক্ষোভ, “যাঁরা হস্তশিল্প নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তাঁরাই আজ হাটে বসতে পারছেন না। অথচ যাঁরা বাইরে থেকে জিনিসপত্র কিনে ব্যবসা করছেন তাঁরা হাটে জায়গা পাচ্ছেন। আমরা হাট কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি।’’ রাজনৈতিক নেতাদের অনুমতি না পেলে বসতে দেওয়া হবে না বলেও হাট কমিটির সদস্যরা জানিয়ে দেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

হাট কমিটির সদস্য ইনসান মল্লিক বলেন, “আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে হাট চলুক। আজ কয়েকজন জোর করে হাটে বসতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছি হাটের নিয়ম কানুন রয়েছে। তা মেনে চললে তবেই তাঁরা হাটে বসার সুযোগ পাবেন।” পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় কয়েক জনকে হাটে বসার ব্যবস্থা করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement