তখনও উদ্ধারকাজ চলছে। —নিজস্ব চিত্র।
বন্ধুরা মিলে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু দুই কিশোরের। দেহ উদ্ধার হল প্রায় ১২ ঘণ্টা পর। সাঁতার না জানাতেই ওই দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে থেকে এক কিশোর ডুবতে ডুবতে বেঁচে ফিরেছে। সেই স্থানীয়দের খবর দেয়। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় মৃত দুই কিশোরের দেহ নদী থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে।
শুক্রবার সাঁওতালডিহির কাঁকি বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত দুই কিশোরের নাম সাকিব আলম (১৭) এবং এহতেশাস আনসারি ওরফে সাদ্দাম আলম (১৬)। আদতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থানার অন্তর্গত ওয়াসেপুরের বাসিন্দা তারা। মৃত দুই কিশোর সম্পর্কে মাসতুতো ভাই।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে গোয়াই নদীতে স্নান করতে নেমেছিল ওই দুই কিশোর। তাদের সঙ্গে নদীতে নেমেছিল আরও দুই কিশোর। তাদের বাকি দুই সঙ্গী পাড়েই দাঁড়িয়েছিল। জলকেলি করতে গিয়ে আচমকাই নদীতে তলিয়ে যেতে শুরু করে তিন জন।
ভয় পেয়ে এক জন পাড়ে উঠে আসে তড়িঘড়ি। কোনওরকমে হাত পা ছুড়ে ভেসেছিল তৃতীয় জন। তলিয়ে যেতে যেতেও পাড়ে উঠে আসতে সক্ষম হয় সে। কিন্তু বাকি দু’জন একেবারেই সাঁতার জানত না। তাই মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যায় তারা।
চোখের সামনে দুই বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে পাড়ে থাকা কিশোররা। স্থানীয় লোকজনদের ডাকাডাকি শুরু করে তারা। বেশ কয়েক জন নদীতে নেমে দুই কিশোরকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তার পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে সন্ধ্যা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁতালডিহি বিসিডব্লিউ ফাঁড়ির পুলিশ। রঘুনাথপুর অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কুই রেসপন্স টিমও এসে পৌঁছয়। কিন্তু রাতভর তল্লাশি চালিয়েও দুই কিশোরকে উদ্ধার করা যায়নি।
শনিবার সকালে নদীতে এক কিশোরের দেহ ভাসতে দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁরাই দেহটিকে তুলে আনেন জল থেকে। তার পর খবর দিলে ফের ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে খোঁজাখুঁজির পর অপর দেহটি উদ্ধার করে তারা। মৃত দুই কিশোরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।