প্রতীকী ছবি।
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল দেওর ও বৌদির দেহ। রবিবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর মহকুমার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একই শাড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম নিমাই মণ্ডল ও শম্পা মণ্ডল (দু’জনের নামই পরিবর্তিত)। রঘুনাথপুর থানা এলাকার বেলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। সকাল পেরিয়ে গেলেও শম্পার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকির পরেও শম্পা দরজা খোলেননি। এর পরেই পরিবারের এক সদস্য জানলায় উঁকি দিতে গিয়ে দু’জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করে। দু’জনের দেহেরই ময়নাতদন্ত হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে দেওর ও বৌদি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কী নিয়ে অশান্তি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, সে ব্যাপারের পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শম্পার স্বামী অবশ্য দেওর ও বৌদির মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠতা’র কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা এক বার বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল। পরে অবশ্য ফিরে এসেছে। তার পর থেকে সব ঠিকঠাকই চলছিল।’’
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এই ঘটনায় যদিও নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়, তা হলে পুলিশ নিশ্চয়ই সেটি খতিয়ে দেখবে।’’