আলোচনা: দেওয়ানগঞ্জে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র।
কয়লা খাদান হবে কিনা তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হবে বলে আগেই জানিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। রবিবার মহম্মদবাজার ব্লকের দেওয়ানগঞ্জ সিধো কানহো আদিবাসী শ্রমিক কল্যাণ সমিতির মাঠে আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে এ নিয়ে আলোচনা সভা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে বাবুলাল টুডু, মঙ্গল মার্ডি, সোমচাঁদ হেমরম, মুন্সি বাসকি, সুকুমার টুডু সহ দশটি আদিবাসী গ্রামের প্রতিনিধিরা। আলোচনায় মূলত খাদানের নেতিবাচক দিকটিই উঠে আসে। কয়লা উত্তোলনে বিপক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন আদিবাসী গাঁওতার সদস্যরা।
কিছুদিন আগে এই মাঠেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদের কাছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা কয়লা খাদান না করার দাবি তোলেন। সেই একই সুর শোনা গেল এ দিনও। যদিও জেলাশাসক ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন যে, জোর করে কারও কাছ থেকে জমি নেওয়া হবে না। আর এখনই কয়লা খনি হচ্ছে না। এখন শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তর সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও যাতে সমীক্ষা নিয়ে কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেই জন্য একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে এই কর্মসূচির। এই আশ্বাসের পরেও আদিবাসী গাঁওতার সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের অস্বস্তির কারণ হল বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ।
আদিবাসী গাঁওতার পক্ষ থেকে বাবুলাল টুডু বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই এই বিষয়টিতে বিরোধিতা করেছি। আজও এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কেউ তাঁদের জমি জায়গা ছাড়বেন না। আর সরকার যে মাইক নিয়ে প্রচার করছে তাতেও আমরা একমত নই।’’