এ ভাবেই আপের কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
সদস্য সংগ্রহে যাওয়া ‘আপ’-এর (আম আদমি পার্টি) জেলা সভাপতি সহ কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেন্দ্রডাঙাল এলাকায়। পিঠে, হাতে আঘাত থাকায় আহতদের রাতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যদিও অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও পুরোদমে দলের সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সম্প্রতি জেলার নলহাটি সহ কিছু এলাকায় আপের কার্যালয়েরও উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি হিসেবে সংগঠনের কার্যকর্তাদের নিয়ে কেন্দ্রডাঙাল এলাকায় ছাউনি খাটিয়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ হচ্ছিল। নেতৃত্বের দাবি, প্রথমে পুলিশ কাজ বন্ধ করতে বলে। যদিও পুলিশ সেই অভিযোগ মানেনি। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা আচমকা বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আপের জেলা সভাপতি সহ চার, পাঁচ জন কর্মী, সমর্থক গুরুতর আহত হন। নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বের তরফে একাধিক বার দাবি করা হয়েছে, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে সব দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এমনটাই তাঁরা চান। এমনকি, মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কোথাও ব্লক অফিস ঘেরাও করে রাখা হলে ‘পুলিশ পিটিয়ে তা তুলে দেবে’ বলেও মন্তব্য করতে দিতে শোনা গিয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতিকে। সেই কথা মনে করিয়ে আপের জেলা সভাপতি বিশ্বদীপ মৈত্রের মন্তব্য, “কোথায় সেই শান্তির পরিবেশ? নির্বাচনের আগেই যদি এই ভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তা হলে নির্বাচনের সময়ে কী হবে।”
রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহের মন্তব্য, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।