— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। ঘটনাস্থল অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখের জেলা বীরভূম। ওই জেলার কাঁকরতলা থানা এলাকায় কয়েক দিন আগে সেখানেই তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াইয়ে বোমার আঘাতে পা উড়েছিল এক কর্মীর। এ বার দলের অপর গোষ্ঠীর হাতে মার খেয়ে প্রাণ খোয়ালেন এক কর্মী। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা এলাকায়। যদিও এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ নিয়ামুল। শুক্রবার কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামে তাঁকে একদল লোক মারধর করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে বড়রা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন নিয়ামুল। বড়রা গ্রামের গরিবপাড়া সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েক জন তাঁর পথ আটকান। বাইক থেকে নামিয়ে পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয় নিয়ামুলকে। সেই সঙ্গে রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় কাঁকরতলা থানার পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
গত কয়েক দিন ধরে কাঁকরতলা থানা এলাকা উত্তপ্ত। বালির ‘বখরা’ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এর আগে কাঁকরতলার জামালপুর গ্রামে বালির ‘বখরা’কে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি হয়। তাতে আহত হন দু’জন। ওই ঘটনার পরে কাঁকরতলা থানার ওসি-কে সরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় দুবরাজপুরের সিআই শুভাশিস হালদারকে। কিন্তু ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার কাঁকরতলা থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়াল। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতায় ওই গন্ডগোল হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।