মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। — ফাইল চিত্র।
এক বছরে এক লাফে ১৫ শতাংশ বাড়ল মুম্বইয়ের প্রভাদেবীর সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের আয়। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে শ্রী সিদ্ধিবিনায়ক গণপতি মন্দির ট্রাস্ট (এসএসজিটিটি)। হিসাব বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সর্বাধিক ১৩৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে, যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
৩১ মার্চ তাদের বার্ষিক বাজেট পেশ করেছে মন্দির পরিচালন কমিটি। এর পরেই ট্রাস্টের নির্বাহী কর্মকর্তা বীণা পাটিল জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মন্দির থেকে মোট আয় হয়েছিল ১১৪ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এ বারের উপার্জনের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে মন্দিরের রাজস্ব ১৫৪ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্দির ট্রাস্টের ডেপুটি এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার সন্দীপ রাঠৌর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রশাসনিক দক্ষতার কারণেই আমাদের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ১১৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে রেকর্ড ১৩৩ কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে, যা ট্রাস্টের প্রত্যাশিত আয়ের চেয়েও ১৫ শতাংশ বেশি।’’ যদিও সন্দীপের দাবি, ভক্তদের সুষ্ঠু ভাবে বিগ্রহদর্শনের সুযোগ দেওয়াই এর নেপথ্য কারণ। সন্দীপের কথায়, ‘‘অন্য মন্দিরগুলিতে বিগ্রহদর্শনের জন্য ভক্তদের মাত্র পাঁচ থেকে সাত সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে প্রত্যেক ভক্ত ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড সময় পান। অথচ ভক্তদের দীর্ঘ ক্ষণ লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হয় না। লাইনগুলি দ্রুত এবং সুশৃঙ্খল ভাবে এগোতে থাকে। ফলে ভক্তেরা খুশি হয়ে ট্রাস্টের জন্য দান করেন।’’ যত বেশি ভক্ত বিগ্রহদর্শনে আসেন, তত বেশি জমা পড়ে প্রণামী এবং দান। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে বাড়ে লাড্ডু ও নারকেল প্রসাদের বিক্রি। কেউ কেউ সোনা-রুপোর বহুমূল্য গয়না দান করেন।
উল্লেখ্য, মহিলাদের পোশাকবিধি চালু করে চলতি বছরের শুরুতেই শিরোনামে আসে মুম্বইয়ের এই মন্দির। গত জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এখন থেকে মন্দিরচত্বরে খোলামেলা, ‘অশালীন’ পোশাক নিষিদ্ধ। এ নিয়ে চর্চাও হয়েছে বিস্তর। কিন্তু তাতে যে ভক্তসমাগমে ভাটা পড়েনি, তা বলছে আয়ের হিসাবই।