প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত সদস্য-সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে দলে টানল তৃণমূল। রবিবার রামপুরহাটে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন মহম্মদবাজার ব্লকের ভাড়কাটা অঞ্চলের বিজেপি সদস্য তাপস ঘোষ ও সংশ্লিষ্ট
পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি তথা মণ্ডল কমিটির সম্পাদক মাধব বিত্তার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন আরও ৮ বিজেপি কর্মী।
মাধব বিত্তার জানান, ১২ সদস্যের ভাড়কাটা অঞ্চলে ৩ জন বিজেপি সদস্য। বাকী ৯ জন তৃণমূলে সদস্য। তাঁর কথায়, ‘‘এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগদান করার কথা জানিয়ে দিয়েছি। আগামী ২১ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে মহম্মদবাজারে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে আমার নেতৃত্বে তিন জন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ অনেকেই তৃণমূলে যোগদান করবেন।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই এক সময়ের তৃণমূলের গড়ে প্রভাব বিস্তার করেছিল বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকায় একটি পঞ্চায়েত দখলও করে বিজেপি। অন্য আরেকটি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমান সমান আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনেও মহম্মদবাজার ব্লকে বিজেপি ভাল ফল করেছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহম্মদবাজার ব্লকের মধ্যে রামপুরহাট বিধানসভায় গণপুর, ভাড়কাটা, হিংলো, সেকেড্ডা, কাপিষ্টা, রামপুর এই ৬টি অঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তি মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল।
মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এলাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। সেই উন্নয়ন চোখে দেখে বিজেপি ছেড়ে সাধারণ মানুষ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।’’ তিনি দাবি করেন, রামপুরহাট বিধানসভা এলাকার মধ্যে মহম্মদবাজার ব্লকের ভাড়কাটা ও সেকেড্ডা— এই দু’টি অঞ্চলে বিজেপির থেকে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। মহম্মদবাজার ব্লকের ৬টি অঞ্চলের সামগ্রিক ফলাফলেও বিজেপির থেকে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবধান আরও বাড়বে বলে আশিসবাবুর দাবি।
বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’