বাঁকুড়ায় ‘গণঅভিযোগ দিবসে’ হাজির আমজনতাও। নিজস্ব চিত্র
ব্যক্তিগত জায়গা দখল করে তৃণমূলের কার্যালয় গড়া হয়েছে বলে বাঁকুড়ার জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ করলেন কাঞ্চনকুমার মিশ্র নামে বাঁকুড়া শহরের মোলদুবকা এলাকার এক বাসিন্দা।
জনগণের সমস্যা শুনতে বাঁকুড়ার সংখ্যালঘু ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস। সেখানেই কাঞ্চনবাবু অভিযোগ করেন, সতীঘাট বাইপাস এলাকায় তৃণমূলের জেলা কার্যালয় গড়ার জন্য তাঁর জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে আমার প্রায় দু’কাঠা জমি ছিল। জমিটি আমি ঘিরে রেখেছিলাম। কিন্তু পার্টি অফিস করতে গিয়ে জায়গাটি দখল করে নেওয়া হয়।”
কাঞ্চনবাবুর দাবি, ‘‘তৎকালীন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তাঁকে জমির কাগজপত্রও দিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।’’ তিনি বলেন, “আমি কেবল লাইনের ব্যবসা করে সংসার চালাই। বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। প্রশাসন যাতে আমার জমি আমাকে ফিরিয়ে দেয় সেই দাবি তুলেছি।” ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলেন জেলাশাসক। জেলাশাসকের বক্তব্য, “শীঘ্রই জায়গাটি কার নামে রয়েছে তা খতিয়ে দেখে মাপজোক করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করব।”
এ দিকে কাঞ্চনবাবুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরূপবাবু। তিনি জানান, কয়েক জন ব্যক্তির দান করা জমির উপর জেলা তৃণমূল কার্যালয়টি গড়া হয়েছে। তাঁর দাবি, “আমরা কারও জায়গা দখল করিনি। ওই ব্যক্তি ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন। ওঁর জায়গা যেমন ছিল তেমনই আছে।”
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো ‘অভিযোগ দিবস’ চালু হল পাত্রসায়র বিডিও অফিসেও। প্রতি সোমবার মানুষ তাঁদের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে পারবেন বিডিওর সঙ্গে। বিডিও (পাত্রসায়র) প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানান, এ দিন কিছু মানুষ তাঁদের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। তাদের কথা শোনা হয়েছে। সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করা হবে।
নবান্নের নির্দেশে জেলায় জেলায় জেলাশাসকেরা গ্রামের মানুষের সমস্যার কথা শুনতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরছেন। ইতিমধ্যে বাঁকুড়া জেলাশাসক তালড্যাংরার একটি গ্রামে গিয়ে সভা করেন। সেখানে তাঁর কাছে এক গুচ্ছ অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। সেখানেই জেলাশাসক জানান, প্রতি সোমবার তিনি, মহকুমাশাসক ও বিডিও-র কাছে সাধারণ মানুষ গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। প্রশাসন থেকে সেই সব অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস
দেওয়া হয়েেছ।