Murder

TMC: হাতের আঙুল ভাঙা, চোট মাথায়, বীরভূমে তৃণমূল নেতার মৃত্যু কি দলীয় কোন্দলের জেরে?

আকাশের পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে তিনি ময়ূরেশ্বর থেকে মল্লারপুরের খড়াসিনপুর এলাকায় গিয়েছিলেন কাজে। তার পর তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২২ ১১:২১
Share:

তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য বীরভূমে। সোমবার রাতে মৃত্যু হয় বীরভূমের ময়ূরেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কাজি নুরুল হাসান ওরফে আকাশের। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আকাশের পরিবারের সদস্যরা। যদিও ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আকাশের পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে তিনি ময়ূরেশ্বর থেকে মল্লারপুরের খড়াসিনপুর এলাকায় গিয়েছিলেন কাজে। তার পর থেকে তাঁকে বার বার ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁদের আরও দাবি, এক বার মল্লারপুর থানার পুলিশ সেই ফোন ধরে জানায়, আকাশ দুর্ঘটনায় পড়েছে। আকাশের আত্মীয়দের বক্তব্য, রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পৌঁছে তাঁরা আকাশকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখতে পান। এর পর রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। আকাশের স্ত্রী মৌসুমি খাতুনের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ ওর ফোন ধরে আমাদের জানায়, ও দুর্ঘটনায় পড়েছে। তবে এটা দুর্ঘটনা নয়। কারণ ওর চশমা পর্যন্ত ভাঙেনি। ওর মাথার পিছন আঘাত করা হয়েছে। আমার স্বামীকে কেউ খুন করেছে। উনি রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন। এর আগেও ওকে কয়েক জন হুমকি দিয়েছিল। দলগত দ্বন্দ্ব ছিল তৃণমূলের মধ্যেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, যারা আমার স্বামীকে খুন করেছে তাদের যেন শাস্তি হয়। আমি যেন বিচার পাই।’’

Advertisement

আকাশের কাকা আবুল কালাম আনসারের কথায়, ‘‘আমরা রাতে খবর পেলাম দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু এসে দেখলাম, ওর দেহে কোথাও আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। শুধুমাত্র মুখে আর কানে রক্তপাত হচ্ছিল। মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওর হাতের সব আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ওর। মনে হচ্ছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওকে খুন করা হয়েছে। কারণ ওকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে দেওয়া হত না। ওর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছিল। আমরা যাদের সন্দেহ করছি, তারাও তৃণমূল করে।’’

এই ঘটনা নিয়ে ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল নেতা মুর্শেদ শেখের বক্তব্য, ‘‘ওর সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা ছিল না। ওকে ব্যবসা করতে টাকাও ধার দিয়েছিলাম আমি। পুলিশ তদন্ত করুক। আসল ঘটনাটা বেরিয়ে আসবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement