মুরারই থানার ডুমুড় গ্রামে তৃণমূলের শান্তি মিছিল ও সাংবাদিক সম্মেলনের ছবি।
সংঘর্ষের জেরে সামনে এসেছিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। তা ‘সামাল’ দিতেই সকলকে নিয়ে শান্তি মিছিল করে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতত্ব।
সোমবার রাতে মুরারইয়ের ডুমুড় গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, এক গোষ্ঠী মুরারই ১ ব্লক সভাপতির গোষ্ঠী বলে পরিচিত। অন্য গোষ্ঠী মুরারইয়ের বিধায়কের গোষ্ঠী বলে পরিচিত। বৃহস্পতিবার অন্য ছবি ধরা পড়ল গ্রামে। ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ ও বিধায়ক মোশারফ হোসেন ব্লকের নেতৃত্ব আলিমুর্তজা খান, প্রদীপ ভকত-সহ অন্য নেতাদের নিয়ে গ্রামে শান্তি মিছিল করেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুরারই পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি বিপ্লব শর্মা, মুরারইয়ের অঞ্চল সভাপতি লালু শেখ ছাড়াও অনেকে।
মুরারই ১ ব্লকের সভাপতি বিনয় ঘোষ ব্লকে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই বলে দাবি করেন। শুধু ডুমুরগ্রাম নয়, ব্লকের পানিয়ারা গ্রামেও চাপা উত্তেজনা আছে বলে অভিযোগ। সেখানে দু’টি বুথে তৃণমূল প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট না করার অভিযোগ করেছেন। এই প্রশ্নের জবাবে বিনয় বলেন, ‘‘ব্লকে কোনও সমস্যা নেই কর্মীদের মধ্যে। ৮ তারিখ সকলেই একজোট হয়ে ভোটে অংশ নেবেন। সাতটি পঞ্চায়েত, সমিতি ও জেলা পরিষদের সব আসনে জয় আসবে।’’ এই কথায় সম্মতি জানান বিধায়ক মোশারফ হোসেন, আলিমুর্তজা খান, প্রদীপ ভকত ও বিপ্লব শর্মা।
মুরারই ২ ব্লকে নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশ যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানোর দাবি করেন বিধায়ক বলেন, ‘‘যাঁরা এই অভিযোগ করেছেন তাঁরা তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয় পাবেন না বলে মিথ্যা অভিযোগ করছে। কর্মীদের বিরোধীদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।"
শান্তি মিছিল নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘ভোটের একদিন আগে হার নিশ্চিত জেনে একসঙ্গে চলার বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তাতে কিছুই হবে না। মানুষজন ঠিক করে নিয়েছেন তৃণমূলকে বিসর্জন দেবেন।’’ তৃণমূলের জেলা সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, ‘‘বিজেপির নেতারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। ভোটের ফলের পরে কোনও নেতার দেখা পাওয়া যাবে না।’’