দলের কর্মীর বাড়িতে শতাব্দী রায়। বুধবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
গত সপ্তাহে রামপুরহাট ২ ব্লকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে দলীয় কর্মীর বাড়িতে মাংস-ভাত ফেলে উঠে যাওয়ার অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। বুধবার একই কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে ফের ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শতাব্দী।
এ দিন সাঁইথিয়া বিধানসভার অন্তর্গত সিউড়ি ২ ব্লকের বনশঙ্কা গ্রাম পঞ্চায়েতে ‘দিদির দূত’ হিসেবে এসেছিলেন শতাব্দী। দোমাইপুর থেকে যাত্রা শুরু করে শিকারপুর এসে দু’টি স্কুল পরিদর্শন করে দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজনের আগে কথা বলার সময় ওই প্রসঙ্গ ছুঁয়ে যান। সাংসদ বলেন, ‘‘১৪ বছর ধরে ঘুরছি। ১৪ বছর রাম বনবাসে ছিলেন। ১৪ বছর কি না খেয়ে ঘুরতে পারি? না খেয়ে বেঁচে থাকতে পারি? আমি তো কর্মীদের বাড়িতেই খাই।’’
গত শুক্রবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির মাঝে রামপুরহাট ২ ব্লকের বিষ্ণুপুর এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে দলের এক কর্মীর বাড়ির উঠোনে মধ্যাহ্নভোজনে যোগ দিয়েও না খেয়ে উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠে সাংসদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল মাংস ভাত ও অন্যান্য পদ পাতে রেখে উঠে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, তার ব্যাখ্যা এ দিন বনশঙ্কায় দেন শতাব্দী। তাঁর দাবি, ‘‘ওখানে আগেই খাওয়া হয়ে গিয়েছিল আমার। খেয়ে হাত ধুয়ে যখন উঠছি তখন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা এসে বললেন, ‘আপানার খাওয়ার ছবি পাইনি, ছবি তুলব’। তাই ছবি তোলার জন্য বসলাম। ছবি তোলার পরে উঠে যাই।’’ শতাব্দীর ক্ষোভ, তার পরেই সেই ছবি ‘এডিট’ করে চালিয়ে দেওয়া হল। বলা হল, সাংসদ খেলেন না বা না খেয়ে উঠে গেলেন। তাঁর সংযোজন, ‘‘ছোট বেলায় মা যখন দুধ দিত, লুকিয়ে ফেলে দিয়ে বলতে হত খেয়েছি। এখন আবার সেই প্রমাণ দিয়ে বলতে হবে খেয়েছি খেয়েছি!’’
এ দিন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলবতি সাহাকে নিয়ে শিকারপুরের তৃণমূল কর্মী বাড়িতে কী খাচ্ছেন, সেটাও সংবাদ মাধ্যমকে জানান শতাব্দী। পরে শিরশিট্যা ও বেড়ালতোড় গ্রামে যান। ওই গ্রামে সংযোগকারী একটি রাস্তা না হওয়ার অভিযোগ তাঁর সামনে তোলেন এক গ্রামবাসী। জবাবে তিনি বলেন, ‘শুনলাম রাস্তার অনুমোদন হয়ে গিয়েছে।’’ পাশ থেকে উপপ্রধানও একই দাবি করেন।