Satabdi Roy

মাংসভাত পড়ে রইল, কর্মীদের সঙ্গে খেতে বসার ছবি তুলেই উঠে গেলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী

শুক্রবার বীরভূমে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কর্মসূচির পর বিষ্ণুপুর এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়ির উঠোনে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫৯
Share:

খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী! নিজস্ব ছবি।

সাংসদের সঙ্গে পাত পেড়ে খেতে বসেছিলেন দলীয় কর্মীরা। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির পর তাঁদের সঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজন করার কথা ছিল বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশে খেতে বসেওছিলেন বীরভূমের সাংসদ। কিন্তু শালপাতার থালায় দেওয়া মাংসভাত ছুঁয়েই দেখলেন না তিনি। খেতে বসার ‘ছবি ওঠা’র পরেই উঠে পড়লেন!

Advertisement

শুক্রবার বীরভূমে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কর্মসূচির পর বিষ্ণুপুর এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়ির উঠোনে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, এঁচোড়ের তরকারি, খাসির মাংস, মাছ। সেখানে শতাব্দীও আমন্ত্রিত ছিলেন। কর্মসূচির পর সেখানেই যান তৃণমূল সাংসদ। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদের অনুরোধে খেতে বসেছিলেন শতাব্দী। সাংসদকেও শালপাতার থালায় সব পদই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজের আসনে বসে দু-একটি ছবি তোলার পরেই না-খেয়ে তিনি উঠে পড়েন।

এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে উঠোনে বসে না খেলেও ওই কর্মীর বাড়ির ভিতরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেছেন সাংসদ। মধ্যাহ্নভোজনের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘অনেকেই ভেবেছিলেন, শতাব্দীদি হয়তো তাঁদের পাশে বসেই খাওয়াদাওয়া করবেন। কিন্তু সারা দিন গ্রামেগঞ্জে ঘুরে সকলেই ক্লান্ত ছিলেন। দিদিও তাই। হয়তো সেই কারণেই বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন উনি।’’

Advertisement

তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন। নিজস্ব ছবি।

‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে শুক্রবারই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী। রামপুরহাটের মাড়গ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। শতাব্দীও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘অনেকেরই অভিযোগ, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলের যেমন হয়েছে, ওঁদেরও হবে। সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।’’ সেই ঘটনার পরেই ভোজন-বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement