প্রতীকী ছবি।
‘কাটমানি’ নিয়ে বিক্ষোভে অব্যাহত ইলামবাজারে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রবিবার ইলামবাজার ও ধরমপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল নেতাদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। এক নেতাকে গ্রামবাসীদের চাপের মুখে পড়ে ‘কাটমানি’ ফেরানোর মুচলেকাও দিতে হল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ইলামবাজার পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কামারপাড়া গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি পিন্টু মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘিরে ‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, বছরে ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের দেখভাল করেন পিন্টু। তাঁর কথাতেই কে ১০০ দিনের কাজ করবেন, কে আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন, কে পাবেন না—সব ঠিক হয়। এ ছাড়াও ১০০ দিনের কাজ করিয়ে নিয়ে মজুরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এ দিন গ্রামবাসীদের চাপের মুখে পড়ে সাত দিনের মধ্যে সমস্ত টাকার হিসেব দেবেন এবং যাঁরা ১০০ দিনের কাজের মজুরি পাননি, তাঁদের প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে দেবেন— এই মর্মে পিন্টু মুচলেকাও দেন। এর পরেই তিনি ঘেরাও মুক্ত হন।
গ্রামবাসী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রামের বহু মানুষকে ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয়নি, আবাস যোজনা বাড়ি তৈরির জন্য বেশ কিছু গ্রামবাসীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তাই ন্যায্য টাকা ফেরতের দাবিতে আমরা পিন্টুর বাড়িতে এসেছি।’’ পিন্টু পরে বলেন, ‘‘যাঁরা মজুরি পাননি, তাঁদের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হবে এবং টাকা না পেয়ে থাকলে তাঁদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’
এ দিনই ইলামবাজার পঞ্চায়েতের ঊষারডিহি গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও সহ-সভাপতির বাড়ি ঘিরে ‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর মধ্যস্থতার আশ্বাসে গ্রামবাসীরা ফিরে যান। অন্য দিকে ইলামবাজার ব্লকের ধরমপুর পঞ্চায়েতের উপর দেলোরা, নান্দার, শেহলাই গ্রামের বাসিন্দারা একজোট হয়ে এ দিন
দেলোরা গ্রামে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করেন। মিছিল শেষে উপর দেলোরা গ্রামে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি এবং বুথ কমিটির এক সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই দুই নেতা সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যদিও এ দিন গ্রামে গিয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতার দেখা পাওয়া যায়নি। পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।