চালু হল নয়া ব্লক। —নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ব্লক তৈরি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে। দীর্ঘ দিন পর অবশেষে বুধবার থেকে নয়া ব্লকে শুরু হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা। পুরভোটের দোরগোড়ায় এই সুপার স্পেশালিটি ব্লক নির্মাণের কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতর। দু’পক্ষেরই দাবি, বাঁকুড়ার মানুষকে এই পরিষেবা দেওয়ার কৃতিত্ব তাদের।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত ওই নয়া ব্লকে কার্ডিও-থোরাসিক ভাসকুলার সার্জারি, কার্ডিয়োলজি, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, পেডিয়াট্রিক সার্জারি এবং প্লাস্টিক সার্জারি এই আটটি বিভাগে আউটডোর চিকিৎসা হবে। এ ছাড়াও ওই ব্লকে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হবে। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কথায়, ‘‘এত দিন পর্যন্ত এই ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য মানুষকে কলকাতায় ছুটতে হত। এই সুপার স্পেশালিটি ব্লকে পুরোপুরি চিকিৎসা পরিষেবা চালু হলে কলকাতার সেই চাপ অনেকটাই কমবে। পাশাপাশি জেলা স্তরেই ওই বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। আমাদের আশা, আগামী দেড় মাসের মধ্যে আমরা এই ব্লকে সব ধরনের চিকিৎসা চালু করতে পারব।’’
পুরভোটের ঠিক আগে চালু হয়েছে এই সুপার স্পেশালিটি ব্লক। তার কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে চাপানউতর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের কথায়, ‘‘২০১৪ সালে আমি বাঁকুড়া, মালদহ এবং উত্তরবঙ্গের তিনটি মেডিক্যাল কলেজে সুপার স্পেশালিটি ইউনিট তৈরির জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে ব্যক্তিগত ভাবে বলেছিলাম। সেই সূত্রেই আজ বাঁকুড়ার মানুষের এই প্রাপ্তি যোগ। এই ইউনিট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনায় এসেছে ১২০ কোটি টাকা। বাকি অল্প টাকা দিয়েছে রাজ্য।’’
অন্য দিকে, তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘সুভাষ সরকার ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছেন। আর এই সুপার স্পেশালিটি ইউনিট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে ২০১৪ সালে। এ রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ায় সুভাষবাবুর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভাবে রাজ্য সরকারের প্রকল্প। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকা দিতে হয়। কিন্তু সে জন্য প্রকল্পটি কেন্দ্রের হয়ে যায় না।’