বোলপুর স্টেশনের সামনে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া-বোলপুর শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের নাম বদল এবং সেই ট্রেন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলল বীরভূম জেলা তৃণমূল। বুধবার প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বোলপুর স্টেশনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান শ’তিনেক কর্মী সমর্থক। নেতৃত্বে ছিলেন বোলপুর তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ি। এর পরেই তাঁরা স্টেশন ম্যানেজারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। রেল যদিও নামবদলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জেলা তৃণমূলের অভিযোগ, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের নাম বদল করেছে রেল। এমনকি ট্রেন থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই অভিযোগকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশন ম্যানেজার গৌরেন্দ্র মিত্র বলেন, “এ রকম কোনও বিষয় জানা নেই আমাদের। কোভিড পরিস্থিতির জন্য স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। তবে ট্রেনের নাম পরিবর্তন হয়নি বলেই জানি। বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। যদি এ রকম হয় তা হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি সরানো হয়নি বলেও দাবি করেছেন স্টেশন ম্যানেজার। তিনি বলেন, “ট্রেনে অত্যাধুনিক কোচ লাগানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি সরানো হয়নি।”
এই ঘটনার জন্য নরেশচন্দ্র আবার বিজেপি-কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শান্তিনিকেতন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্য মুছে ফেলতে চাইছে।’’ তৃণমূলের এই অভিযোগকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কমল দেওদাস বলেন, ‘‘ট্রেন বা রেকের নাম বদল হয়নি। রবীন্দ্রনাথের ছবিও সরানো হয়নি। এটা নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে। এখনও হাওড়া-বোলপুর শান্তিনিকেতন স্পেশাল ট্রেন চলছে। বিশেষ কোচের নাম দীনদয়াল উপাধ্যায় রয়েছে।’’