বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার দোকানে সেই হুমকি পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি বিধায়কের কাপড়ের দোকানে সাঁটা রয়েছে হুমকি পোস্টার। তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ায়। শনিবার বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার পোশাকের দোকানে সেই পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। এ নিয়ে সরব হয়েছেন নীলাদ্রি। যদিও তিনি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি। তবে পাল্টা হুঙ্কার দিয়েছেন। আবার পোস্টার নিয়ে ভিন্ন মত বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতাদের। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
বাঁকুড়ার ভৈরবস্থান মোড়ে বিধায়ক নীলাদ্রিশেখরের একটি রেডিমেড পোশাকের দোকান রয়েছে। শনিবার সকালে ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে এসে দেখতে পান বিধায়কের বন্ধ থাকা দোকানের দরজায় একটি পোস্টার সাঁটানো রয়েছে। সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে ওই পোস্টারে লেখা, ‘দোকান খুলিলেই মারব’। এই হুমকি পোস্টার কে বা কারা দিয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি বিধায়ক। তবে নীলাদ্রির কথায়, ‘‘চোর ডাকাতের মতো রাতের অন্ধকারে একটি পোস্টারের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে নীলাদ্রিশেখর দানাকে দমানো যাবে না। এ ভাবে আমার নিজের কাজ থেকে আমাকে সরানো যাবে না। লড়াই করতে হলে সামনাসামনি আসুন।’’
এক সময় নীলাদ্রিশেখর নিজেই ওই দোকান চালাতেন। এখন অবশ্য নিয়মিত দোকানে থাকেন না তিনি। বিধায়ক হওয়ার পর বাঁকুড়ায় থাকলে নীলাদ্রিশেখরের বেশির ভাগ সময় কাটে ওই দোকান অথবা দোকান সংলগ্ন এলাকায় থাকা দলীয় কার্যালয়ে। দোকানের জন্য কর্মচারীও রয়েছে।
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার অবশ্য বক্তব্য, ‘‘এটা বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। পুরসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেওয়ার জন্য এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন।’’ দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলার নেতারা। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবাশিস দত্তের কথায়, ‘‘আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠী নেই। বিধায়ককে হুমকি দিয়ে এই পোস্টার যারা দিয়েছে তারা প্রকৃত অর্থেই দুষ্কৃতী। আশা করি পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করবে।’’