Bishnupur

Bishnupur mela: থিম ‘শতবর্ষে সত্যজিৎ’, শুরু বিষ্ণুপুর মেলা

মেলায় ঢোকার সময়ে, সকলের হাতে স্যানিটাইজ়ার ও মাস্কহীনদের মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:১৬
Share:

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। ছবি: শুভ্র মিত্র

৩৪তম বিষ্ণুপুর মেলা শুরু হল। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুল মাঠে মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী সৌমেনকুমার মহাপাত্র। ছিলেন মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, জেলা ও দায়রা বিচারক শান্তনু ঝা, জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং বিষ্ণুপুর, সোনামুখী ও বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন যথাক্রমে অর্চিতা বিদ, তপনজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় ও অলোকা সেন মজুমদার প্রমুখ। পাশাপাশি, এ দিন বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের হস্টেল মাঠে জেলা সবলা মেলারও উদ্বোধন করেন সেচমন্ত্রী।

Advertisement

এ দিন বিকেলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বিষ্ণুপুরের রামশরণ মিউজিক কলেজের উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়। ওড়ানো হয় বেলুন। মেলা কমিটির তরফে জানা যায়, এ বার বিষ্ণুপুর মেলার থিম ‘শতবর্ষে সত্যজিৎ’। তৈরি করা হয়েছে তাঁর নামাঙ্কিত আর্ট গ্যালারি।

মেলায় সাংস্কৃতিক মঞ্চের পাশে, বিভিন্ন স্টলগুলির সামনের অংশ সঙ্গীতাচার্য যদুনাথ ভট্টাচার্য, পুরাতত্ত্ববিদ চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত ও মানিকলাল সিংহ, বিষ্ণুপুর ঘরানার সঙ্গীত বিশারদ গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। নিখরচায় মেলা প্রাঙ্গণে দোকান পেয়েছেন পোড়ামাটির হাটের হস্তশিল্পীরা।

Advertisement

ফি বছর উদ্বোধনের সময়ে বিষ্ণুপুর স্টেডিয়াম থেকে বিভিন্ন সংস্থা, শিল্পী ও ছাত্রছাত্রীদের র‌্যালি শহর পরিক্রমা করে মেলায় হাজির হত। তবে এ বারে করোনা-পরিস্থিতিতে তার অনুমতি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। বদলে মেলার মাঠে যদুভট্ট মঞ্চ প্রাঙ্গণে, দূরত্ববিধি মেনে বাঁশের ব্যারিকেডের মধ্যে পরিবেশিত হয়েছে আদিবাসী নৃত্য, ঢাকিদের বাজনা, স্কুলপড়ুয়াদের শাস্ত্রীয় নৃত্য।

বিষ্ণুপুর মেলা ও উৎসব কমিটির সচিব তথা মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) অনুপকুমার দত্ত বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলার আয়োজনে কিছু কাটছাঁট করতে হয়েছে। তবে পর্যটকদের কথা ভেবে বেশ কিছু নতুন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ লাগোয়া জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। হস্তশিল্পীদের দোকান আলাদা জায়গায় বসানো হয়েছে। এক জায়গায় যাতে ভিড় না জমে, তার জন্য এমন ব্যবস্থা।”

মেলায় ঢোকার সময়ে, সকলের হাতে স্যানিটাইজ়ার ও মাস্কহীনদের মাস্ক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিষ্ণুপুর মেলা চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement