এই মন্দিরেই তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
একই রাতে পর পর দু’টি মন্দিরে চুরি। খোয়া গিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী এবং নগদ। শনিবার এবং রবিবারের মধ্যবর্তী রাতে জোড়া চুরির ঘটনা ঘটল বীরভূমের রামপুরহাটে। চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এখনও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার গভীর রাতে রামপুরহাট থানার কাবিলপুর গ্রামে পর পর দু’টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে কাবিলপুর গ্রামের রাধা মদনমোহন জিউ মন্দির এবং হনুমান মন্দিরের চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়। মন্দির চত্বরে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। মন্দিরের পুরোহিত বলেন, ‘‘আজ সকালে (রবিবার) মন্দিরে পুজো দিতে এসে দেখি, রাধা মদনমোহন জিউ মন্দিরের প্রধান দরজা-সহ দু’টি দরজার চারটি তালাই ভাঙা। রাধা মদনমোহন বিগ্রহের সোনা ও রুপোর সমস্ত গয়না এবং অন্যান্য দামি সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা।’’ স্থানীয় বাসিন্দা চিন্ময়ী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকালে ঠাকুরঘর পরিষ্কার করতে এসে দেখি তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখি সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। এ সব দেখে কাকাশ্বশুরকে ডাকি। তিনি দেখেন, ঠাকুরের গয়নাগাটি কিছুই নেই। তার পর পুলিশও আসে। আমরা চাই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মন্দিরের কাছেপিঠেই রোজ আড্ডা বসে। সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বেরোনোর উপায় নেই এমন অবস্থা হয়। পুলিশ সব জানে কিন্তু কিছুই করে না।’’
একই রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে কাবিলপুর গ্রামের আরও একটি মন্দিরে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হনুমান মন্দিরের তালা ভেঙে মন্দিরে থাকা প্রণামী বাক্স থেকে সমস্ত টাকা চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সব মিলিয়ে চুরির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক টাকা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামপুরহাট থানার পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনারও তদন্ত শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একেবারে ধারেই কাবিলপুর গ্রাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত ২৫ অগস্ট থেকে জাতীয় সড়কে পুলিশি টহলদারি বন্ধ করে দিয়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ। চোরেরা সেই সুযোগ নিয়েই মন্দিরে ফাঁকা করে দিয়েছে বলে দাবি তাঁদের।