বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র
এক যুবতীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ায় প্রতিবেশী শেখ হাফিজুল নামে এক ব্যক্তিকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এই মামলায় সোমবার অভিযুক্তের পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনাল বোলপুর আদালত। যদিও এই সাজায় খুশি নয় মেয়েটির পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের রায়পুর সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রজতপুর গ্রামে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এক যুবতীর স্নানের ছবি তুলে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সহবাস করে গ্রামেরই ছেলে পেশায় রাজমিস্ত্রি শেখ হাফিজুল। লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ২০১৭ সালের ৯ ডিসেম্বর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে দশ দিন পরে মৃত্যু হয় যুবতীর। শেখ হাফিজুলের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করে যুবতীর পরিবার। তখনই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় আড়াই বছর মামলা চলার পরে সাত চিকিৎসক সহ ১৫ জনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক কল্লোলকুমার দাস হাফিজুলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সোমবার সাজা ঘোষণা হয়। সরকারি আইনজীবী তপন দাস বলেন, ‘‘৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’’ এই সাজায় খুশি নয় মেয়ের পরিবার। ওই যুবতীর মা জানান, ‘‘ঠিক মতো তদন্ত হলে আরও বড় সাজা হত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব।’’