West Bengal Panchayat Election 2023

‘ভোটের দিন এত পুলিশ কোথায় ছিল’

গাড়াফুসড়োর ওই বুথে এ দিন সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন ছিল। ওই বুথের ভোটার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ভোট দেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ০৬:৫১
Share:

করা নিরাপত্তা গঙ্গাজলঘাটীর বড়লালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে। — নিজস্ব চিত্র।

এক মহিলা পুলিশ কর্মী পাহারায় ছিলেন শনিবার। সে দিন একদল লোক ওই বুথে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে, ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দিয়েছিল। সোমবার পুরুলিয়া ১ ব্লকের গাড়াফুসড়োর সেই ১৬ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচনে থাকল ১০ জন আধা সেনা ও রাজ্য পুলিশের ৪৮ জন কর্মী। ভোটও হল নির্বিঘ্নে। অন্য তিন বুথেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোটও হল শান্তিতেই। ভোটদান ৭৫.৮৩ শতাংশ।

Advertisement

গাড়াফুসড়োর ওই বুথে এ দিন সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন ছিল। ওই বুথের ভোটার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো ভোট দেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনা এখানে আগে কোনও দিন ঘটেনি। বিরোধীরা এটা আমদানি করেছে।’’

ওই বুথে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে দেওয়া, ব্যালট বাক্সে জল ঢালা, বুথের সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগে পুলিশ রবিবার দুপুরেই গ্রেফতার করে ওই বুথের কুড়মি সমাজ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী রূপচাঁদ মাহাতো ও তাঁর বাবা ছুটুলাল মাহাতোকে। এদিন আদালতে জামিন না পাওয়ায় তাঁরা ভোটে অনুপস্থিত ছিলেন। রবিবার ওই গ্রামে যান আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত মাহাতো। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘নির্বাচনের দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে বুথের প্রিসাইডিং অফিসার অভিযোগে কারও নাম উল্লেখ করেননি। তারপরেও পুলিশ গ্রামে ভয়ের পরিবেশ তৈরির জন্য নির্দল প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে।’’ পুলিশ সে অভিযোগ মানেনি। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরামও বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন নিজের কাজ করেছে। তাতে কেউ প্রভাব খাটায়নি।’’

Advertisement

ভোটগ্রহণ পর্বের পুরোটাই ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। সকাল থেকে ওই গ্রামে ২০ জন পুলিশ কর্মী টহল দেয়।আগের দিন ভোট দিতে না পারা কনিকা মাহাতো, মগন বাউড়িরা বলেন, ‘‘ভোটের দিন এত পুলিশ থাকলে গন্ডগোলই হত না।’’

রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মঙ্গলদা মৌতোড় পঞ্চায়েতের ৭৬ নম্বর বুথে পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী শেফালি বাউরির নাম ও প্রতীক কোনওটাই ব্যালটে ছিল না। সিপিএম প্রার্থী আরতি বাউরির নামের বদলে নাম ছাপা হয়েছিল মমতা বাউরি। ওই আসনে ভোট বাতিল করা হয়। সেখানে নির্বিঘ্নে পুনর্নির্বাচন হয়। নিতুড়িয়ার শালতোড় পঞ্চায়েতের ৪০ নম্বর বুথ পঞ্চায়েত সমিতির ১১ নম্বর আসনে পড়ে। ভুলবশত পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ নম্বর আসনের কিছু ব্যালট ওই বুথে চলে যায়। পঞ্চায়েত সমিতির আসনে ভোট বাতিল হয়। সেখানেও শান্তিতে এ দিন ভোট হয়েছে। ঝালদা ২ ব্লকের মাঝিডি পঞ্চায়েতের জিলিংলহর গ্রামের ৫৪ নম্বর বুথে ভোট বাতিল হয় ব্যালটে পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থীর পদবি ভুল থাকায়। সন্তোষ মাহাতোর পরিবর্তে ব্যালটে ছিল সন্তোষ কুমার। কংগ্রেস আপত্তি তোলায় ভোট বাতিল হয়। সেখানেও ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement