ইলামবাজারের দেলোরা গ্রামে েভঙেছে ঘর। নিজস্ব চিত্র
মিনিট দশেকের ঝড়ে লন্ডভন্ড হল ইলামবাজারের বেশ কয়েকটি গ্রাম। ক্ষতি হয়েছে মহম্মদবাজারেও।
ইলামবাজারে কোথাও উড়েছে বাড়ির চাল, কোথাও ভেঙেছে বাড়ি, উপড়েছে গাছ। সোমবার বিকেলের পরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়। তাতে ক্ষতি হয়েছে ইলামবাজারের ধরমপুর ও বিলাতি পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বেশ কিছু গ্রামের। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত ধরমপুর পঞ্চায়েতের দেলোরা গ্রাম।
এ দিন সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২টি বাড়ির টিনের চান উড়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি পড়েছে। বড় বড় গাছ পড়ে যাওয়ায় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মাটির বাড়ি পড়ে যাওয়ায় সারারাত গাছতলায় কাটিয়েছেন শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর পরিবার। পরিবারের সদস্য কাজল শেখ বলেন, ‘‘ইদে নিজেদের মতো করে উৎসব পালন করছিলাম। হঠাৎ ঝড় শুরু হলে বাইরে বেরিয়ে আসি। তার পরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়ি।’’ একই অবস্থা শেখ আব্বাস, শেখ শরিফুলের পরিবারেও।
মঙ্গলবার দুপুরে কিছু অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করা গেলেও বহু এলাকা এখনও বিদ্যুৎহীন। বিডিও (ইলামবাজার) মহম্মদ জসিমউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘কত ক্ষতি হয়েছে, তার রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হচ্ছে।’’
মহম্মদবাজারের ফুল্লাইপুর গ্রামের কোড়াপাড়াতেও ভেঙেছে খড়ের চাল। কোথাও ভেঙেছে গাছের ডাল। ছিঁড়েছে ইলেকট্রিক তার। ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে গ্রামে। মহম্মদবাজার পঞ্চায়েতের প্রধান উমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপাতত ত্রিপলের ব্যবস্থা হয়েছে। কার, কতটা ক্ষতি হয়েছে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’