Damodar Valley Corporation

দ্বিতীয় ইউনিট তৈরি করছে ডিভিসি

বর্তমানে রঘুনাথপুরে দু’টি ইউনিট থেকে মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলবে।

Advertisement

শুভ্রপ্রকাশ মণ্ডল

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫২
Share:

চেয়ারম্যান (বাঁ দিকে) শনিবার রঘুনাথপুরে। নিজস্ব চিত্র।

আগামী বছরে ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে তাদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। সেখানে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম দু’টি ইউনিট তৈরি করা হবে। শনিবার রঘুনাথপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে এসে এ কথা জানান ডিভিসির চেয়ারম্যান রামনরেশ সিংহ।

Advertisement

বর্তমানে রঘুনাথপুরে দু’টি ইউনিট থেকে মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলবে। ফলে রঘুনাথপুরে ডিভিসি মোট ২৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দ্বিতীয় পর্যায়ের দু’টি ইউনিট চালু হলে রঘুনাথপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের নিরিখে ডিভিসির বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করবে।”

চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘প্রকল্প তৈরির জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। আগামী বছরের গোড়ায় নির্মাণ শুরু হবে। চার বছরের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায় থেকে উৎপাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।’’ ডিভিসি সূত্রের খবর, বর্তমানে বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তাদের সব থেকে বড় কেন্দ্র (উৎপাদন ক্ষমতা ২৩৪০ মেগাওয়াট)। রঘুনাথপুরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৫২০ মেগাওয়াট। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের কোডরমাতে ৮০০ মেগাওয়াট করে দু’টি ইউনিট তৈরি শুরু করছে ডিভিসি। সেখানে বর্তমানে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ফলে কোডরমাতে দ্বিতীয় পর্যায়ের উৎপাদন শুরু হলে তা রঘুনাথপুরকে টপকে যাবে।

Advertisement

এ দিন ডিভিসির সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির প্রকল্প অধিকর্তাদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে করতে রঘুনাথপুরে এসেছিলেন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত প্রকল্পের উৎপাদন-সহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করা হয়েছে। প্রকল্পগুলিতে কোথায় খামতি আছে, তা পুষিয়ে নিতে কী করণীয় সেই বিষয়ে আলোচনা হবে।”

চেয়ারম্যানের দাবি, জাতীয় স্তরের পিএলএফ-র ক্ষেত্রে (প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টরে) ডিভিসির পিএলএফ গড়ে ১০ শতাংশ বেশি আছে। ফলে লোকসান মিটিয়ে আয় বেড়েছে ডিভিসির। ঝাড়খণ্ডের লাতেহারে কয়লাখনি পেয়েছে ডিভিসি। সে প্রসঙ্গ তুলে চেয়ারম্যান জানান, নিজস্ব কয়লাখনি থাকায় তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিভিসিকে কয়লার জন্য অন্য সংস্থার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।

এছাড়াও রঘুনাথপুরের ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠে পূর্ণ ক্ষমতার উৎপাদন শুরু করায় লাভ করতে শুরু করেছে বলে ডিভিসি সূত্রের খবর। চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এটা একটা বড় ও ইতিবাচক দিক। কিছু কারণে আরটিপিএস পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছিল না। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাস্তুকার-সহ কর্মীদের সম্মিলিত চেষ্টায় সেই ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। পূর্ণ মাত্রায় উৎপাদন হচ্ছে। যে কারণে ফ্রেব্রুয়ারি মাসে লাভ করেছে আরটিপিএস। সেই ধারাবাহিকতা আগামী দিনেওবজায় থাকবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement