অপেক্ষা: নানুর হাসপাতালে লালারস সংগ্রহ। নিজস্ব চিত্র
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) থেকে আরটি-পিসিআর টেস্টের অনুমতি আগেই মিলেছিল। এ বার ঘোষণা মতো মঙ্গলবার থেকে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের লালার নমুনা পরীক্ষা শুরু হল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে প্রতিদিন ১০০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। আগামী দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, আগামী দিনে সেই সংখ্যা ৫০০-র বেশি হবে। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, জেলায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আরও বেশি করে টেস্টের প্রয়োজনীয়তা বুঝে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে করোনা সন্দেহভাজনদের লালারস পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে তৎপরতা শুরু হয় কিছু দিন আগে।
দিন কুড়ি আগে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিতকরণে ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র বসানো হয়েছিল। চিকিৎসকদের মতে, ট্রু-ন্যাট যন্ত্রের সাহায্যে করোনাভাইরাসের গ্রুপকে চিহ্নিত করা সম্ভব। র্যাপিড কিটের তুলনায় ওই যন্ত্রের কার্যকারিতা অনেক বেশি। কিন্তু চিকিৎসকদের দাবি, আক্রান্তের লালারসে করোনার অস্তিত্ব আছে কি না তা নিশ্চিত করতে গেলে আরটি-পিসিআর টেস্ট জরুরি।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রের খবর, আরটি-পিসিআর টেস্টের অনুমতি শনিবার বিকেলেই মিলেছিল। ওই টেস্ট করার যন্ত্রাংশও বসানো হয়েছিল। কেবল বাকি ছিল আইসিএমআর-এর অনুমোদন। সেই অনুমোদন মেলার পরেই পরীক্ষা শুরু হল। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, এ দিন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্স সহ যাঁরা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘আপাতত ১০০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হবে। ধাপে ধাপে ২০০, ৩০০, ৫০০ এমনকি তারও বেশি সংখ্যায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’