Nanur

সাপের কামড়ে মরা যুবককে খাল কেটে ১৫ ঘণ্টা ফেলে রাখা হল জলে, ওঝাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ!

বুধবার বিকেলে নানুর থানার হোসেনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুজন থান্ডার (২৬)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নানুর শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৪৫
Share:

নিজস্ব চিত্র।

সাপের কামড়ে শ্বাস উঠে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। তাঁকে বাঁচিয়ে তুলতে ওঝার কথায় কৃত্রিম খাল কেটে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জলের মধ্যে ফেলে রাখা হল। এই ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের নানুরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়। পরে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

বুধবার বিকেলে নানুর থানার হোসেনপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুজন থান্ডার (২৬)। বাড়ির পাশের পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন সুজন। সেই সময় তাঁর পায়ে সাপে কামড়ে দেয়। কিছু ক্ষণ পরেই তাঁর মুখ থেকে ফেনা বার হতে দেখে স্থানীয়েরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। পথেই মৃত্যু হয় সুজনের। গ্রামেরই কিছু লোক মৃতের পরিবারকে জানান, ওঝা দেখালে হয় বেঁচেও যেতে পারেন সুজন। সেই মতোই বর্ধমানের গলসি থানার চন্দ্রমোহন দাস নামে এক ওঝাকে ডাকা হয়। সেই ওঝার বুদ্ধিতেই সুজনের বাড়ির পাশে খাল কেটে তাতে জল ভরে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় সুজনকে। গোটা শরীর জলের নীচে আর মাথা বাইরে।

এলাকায় মৃত যুবককে বাঁচিয়ে তোলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দলে দলে ছুটে আসতে থাকেন গ্রামের মানুষেরা। হট্টগোলের খবর পেয়ে নানুর থানার পুলিশও আসে। কিন্তু পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা গেলে তাঁদেরও বাধা দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় অনেকের মোবাইল ফোন। যদিও শেষমেশ গ্রামে ঢুকে সুজনের দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ওঝারও খোঁজ করা হচ্ছে।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে সুপ্রিয় সাধু বলেন, ‘‘এই ঘটনার নিন্দা করার মতো ভাষা নেই। এখনও মানুষ কতটা কুসংস্কারাচ্ছন্ন, এই ঘটনা তারই প্রমাণ। পুলিশ এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক, এটাই চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement