Coronavirus

বসবে স্যানিটাইজ়ার টানেল, তারাপীঠ বন্ধ ১৫ জুন পর্যন্ত

করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের জন্য দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বর মন্দিরের পাশাপাশি তারাপীঠ মন্দিরও বন্ধ রাখা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৩:২৮
Share:

তোড়জোড়: বিধি মেনে মন্দির খোলার প্রস্তুতি। সাঁইথিয়ার নন্দিকেশ্বরী মন্দিরে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১ জুন, সোমবার থেকে রাজ্যের মন্দির, মসজিদ, গির্জা খুলে রাখার। বীরভূমে বহু ধর্মস্থান খুললেও জেলার সব থেকে বড় তীর্থক্ষেত্র তারপীঠ মন্দির এখনই খুলছে না। ১৫ জুন পর্যন্ত মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ‘‘দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের তিন দিকে তিনটি স্যানিটাইজ়ার টানেল বসানোর জন্য তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদকে বলা হয়েছে। সেই কাজ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশা। সেই কারণে মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য ১৫ জুন পর্যন্ত খোলা হবে না।’’

Advertisement

করোনা সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের জন্য দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বর মন্দিরের পাশাপাশি তারাপীঠ মন্দিরও বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে মাতারার নিত্যপুজো, ভোরের স্নান থেকে দুপুরের ভোগ নিবেদন, সন্ধ্যা আরতি চালু আছে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, শুক্রবার রাজ্য সরকারের ঘোষণা জানার পরে শনিবার মন্দিরের সেবায়েতদের মূল কমিটি নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন পর্যন্ত মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হবে। তার আগে ১৪ জুন মন্দির কমিটি আরও একবার সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করার জন্য বৈঠকে বসবেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারাপীঠ মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলার জন্য কমিটির সদস্যরা নজরদারি চালাবেন। অন্তত ছ’ফুট দূরত্ব যাতে দর্শনার্থীদের মধ্যে বজায় থাকে, তার সব রকম ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া মন্দিরের গর্ভগৃহে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে। দূর থেকে দর্শনার্থীদের মা তারার দর্শন করতে হবে। ভিড় এড়াতে রাজ্য সরকারের যাবতীয় নিয়মকানুন মেনে চলা হবে। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মন্দিরে স্যানিটাইজ়ার টানেল বসানোর ব্যাপারে একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই টানেল বসানো হবে।’’

Advertisement

জেলার অন্যতম পীঠস্থান বক্রেশ্বর মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হবে কিনা, তা মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়। তবে, জেলার অন্য দুই সতীপীঠ, সাঁইথিয়ার নন্দিকেশ্বরী মন্দির এবং লাভপুর ফুল্লরা মাতা মন্দির ১ জুন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হবে। রাজ্য সরকারের গৃহীত যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা হবে বলে দুই মন্দির কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন।

পাথরচাপুড়ি উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান, নলহাটির বিধায়ক মৈনউদ্দিন শামস জানান, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে পাথরচাপুড়ি দাতাবাবার মাজার ১ জুন থেকে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হবে। তবে, ৯ জুন এ ব্যাপারে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মাজার কমিটি বৈঠকে বসবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement