ধৃত কলেবর সিংহকে গাড়িতে তোলা হচ্ছে
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় ধৃত দাদা নরেন কান্দুকে সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল পুরুলিয়া জেলা আদালত। পাশাপাশিই, আরও দুই অভিযুক্ত চক্রান্তকারী কলেবর সিংহ এবং আশিক খানকেও সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর কলেবরের সিংহের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
আদালত কলেবরকে পাঁচ দিন আর আশিককে সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। নরেন, কলেবর ও আশিককে রাজ্য সরকারের গঠন করা সিট গ্রেফতার করেছে। তপন খুনে গ্রেফতার হয়েছেন নরেনের ছেলে দীপক কান্দুও। তিনিও জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে এখনও পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেনি সিবিআই।
রবিবার সকালে তিন ধৃতকে আদালতে নিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। রবিবার, ছুটির দিনে আদালত বন্ধ থাকায় প্রথমে তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন। পরে সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত খুলে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি শুরু হয়। এর পর সওয়াল জবাবের পর তিন ধৃতের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের হেফাজতে নিতে গাড়িতে তোলার সময় কলেবর সিংহ বলেন, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। নিজের বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। ওই সময় তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলেবর ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক ডাকাতির একাধিক অভিযোগ হয়েছে। ঝালদা থানাতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তপন খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার আগে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের দাবি ছিল, কাউন্সিলরকে খুন করতে সাত লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল কলেবরকে। এর পর কলেবরই আশিকের সঙ্গে খুনের ষড়যন্ত্র করে। পুলিশ এ-ও বলেছিল, তপনের খুন রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক। দাদা নরেনই তপনকে খুন করেছিলেন। ঘটনাচক্রে, পুলিশের এই দাবির পরেই কাউন্সিলর খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।