বাঁকুড়ায় মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল পরিচালিত বেলশুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বাইরে একটি কথাও বললেন না দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতে থাকা তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভ-বিক্ষোভ যা সামনে আসবে, তা তিনি মিটিয়ে ফেলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করেন শুভেন্দু। সদ্য বিষ্ণুপুরের বেলশুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠী’র দ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের কাছে। তা নিয়ে প্রশাসনিক তদন্তও চলছে।
রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে জেলা তৃণমূলও তদন্ত করে। তদন্তে গিয়ে এক বেলা ঘুরেই পঞ্চায়েতের দলীয় জনপ্রতিনিধিদের ‘ক্লিনচিট’ দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল। তিনি জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু জেলায় এলে তাঁর মাধ্যমেই তদন্ত-রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
তবে ওই ঘটনায় শুভেন্দু এ দিন কোনও বার্তা দেন কি না, সে দিকে নজর ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের। শুভেন্দু কী বলেন, তা জানতেও আগ্রহী ছিলেন দলের নিচুতলার কর্মীরা। এ দিন কর্মী-বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে বেলশুলিয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটের পরে, দায়িত্ব নিয়ে জেলার বহু জায়গার সমস্যার সমাধান করেছিলাম। রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ঠিক করা যাচ্ছিল না। ওন্দা ব্লকে সাংগঠনিক সমস্যা ছিল। সবই সমাধান করেছি। পুরুলিয়াতেও সমস্যা ছিল। তা মিটিয়েছি। করোনা-পরিস্থিতিতে কর্মীদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা যাচ্ছে না। আগামী দিনে যা সমস্যা আসবে, তা মেটাব।”
শুভেন্দুর কথা শেষ হতেই তাঁর পাশে থাকা জেলা তৃণমূল সভাপতি দাবি করেন, “ওঁর (শুভেন্দুর) নির্দেশে আমি বেলশুলিয়ার সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি।”
শুভেন্দু জানান, জেলার প্রতিটি বুথে ২১ জুলাই কী ভাবে পালন করা হবে, দলীয় কর্মীদের সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “করোনা-পরিস্থিতির জন্য বেশি সংখ্যক কর্মীকে নিয়ে বৈঠক করা গেল না। হলের ভিতরে থাকা কর্মীদের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়েছিল। আগামী দিনে দলীয় কর্মসূচিগুলিতেও কর্মীদের নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছি।”