Visva Bharati

বিশ্বভারতীতে অনশনে এক ছাত্রী এবং অধ্যাপক, সন্ধ্যায় আন্দোলনের সমর্থনে নাট্যকর্মীরা

রবিবারই বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে একটি ইমেল পাঠিয়েছে। ইমেলে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৫৪
Share:

ধর্নামঞ্চে অনশনকারীরা। নিজস্ব চিত্র।

হাই কোর্টের নির্দেশে উপাচার্যের বাসভবন থেকে পড়ুয়াদের ধর্না মঞ্চের দূরত্ব বেড়েছে। তা বলে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের আন্দোলনের ঝাঁঝ এতটুকু কমেনি। রবিবার থেকেই সেখানে অনশন শুরু করেছেন এক ছাত্রী এবং এক অধ্যাপক। রবিবারই বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে একটি ইমেল পাঠিয়েছে। সেই ইমেলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন (ভিবিইউএফএ) যে মেল পাঠিয়েছে তাতে, অনৈতিক ভাবে পড়ুয়াদের বরখাস্ত, বিশ্বভারতীর বিভিন্ন গেটে বিগত কয়েক দিনে তালা দেওয়া, বেতনের সমস্যা, বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ এনেছেন।

তিন পড়ুয়ার বরখাস্তের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ২৭ অগস্ট রাত থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলন বসেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। এই অবস্থানের বিরোধীতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন উপাচার্য। হাই কোর্টের বিচারপতি জানান, উপাচার্যের বাসভবন থেকে অন্তত ৫০ মিটার দূরে মঞ্চ সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই মতোই সরিয়ে নেওয়া হয় মঞ্চ। রবিবার সেখানেই অনশনে বসেছেন বিশ্বভারতী সংগীত ভবনের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। সোমবারও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

আন্দোলনকারীরা সোমবার একটি জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায়, বোলপুর শান্তিনিকেতন এলাকার বেশ কিছু নাট্যগোষ্ঠী ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করে নাট্য প্রদর্শন করবে বলে জানা গিয়েছে।

হাই কোর্টের নির্দেশের পর ঘেরাও মুক্ত হয়েছেন উপাচার্য। কিন্তু তার পরও তাঁকে এক বারও বাসভবন থেকে বের হতে দেখা যায়নি। যে উপাচার্য ঘেরাও থাকার সময়, তাঁকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর কেন তিনি বেরচ্ছেন না সেই প্রশ্নও তুলেছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement