মুকুটমণিপুরে বৃক্ষরোপণ। নিজস্ব চিত্র।
পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা কমেছে মুকুটমণিপুর জলাধারে। বন দফতরের সমীক্ষাতেই এই তথ্য সামনে এসেছে। তাই পরিযায়ী পাখিদের মন পেতে বাঁকুড়া দক্ষিণ বনবিভাগের খাতড়া রেঞ্জ চারারোপণ করল কংসাবতী জলাধারের বনপুখুরিয়া দ্বীপে। শুক্রবার দুপুরে চারারোপণ কর্মসূচিতে ছিলেন মুখ্য বনপাল এস কুলান ডেইভাল, বাঁকুড়া দক্ষিণের ডিএফও প্রদীপ বাউরি, এসডিও (খাতড়া) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়, এসডিপিও (খাতড়া) অভিষেক যাদব, খাতড়ার রেঞ্জার সীতারাম দাস প্রমুখ।
মুখ্য বনাধিকারিক জানান, বর্ষায় ফি বছর বন দফতর বিভিন্ন জায়গায় চারারোপণ করায় জঙ্গল বেড়েছে। সে কারণে জঙ্গলে পশুপাখির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বার মুকুটমণিপুর কংসাবতী জলাধারের মধ্যে থাকা দ্বীপেও চারারোপণ করার কথা ভাবা হয়। শীতকালে এখানে পরিযায়ী পাখিরা আসে। তাদের পছন্দের গাছের চারা বসানো হল। এতে শীতে পরিযায়ীদের আনাগোনা আরও বাড়বে। বন দফতর সূত্রে খবর, তেঁতুল, মহুল, বহড়া, বট ইত্যাদি বড় বৃক্ষ যেখানে পাখিরা বাসা বাঁধতে পারে, এমন গাছের চারা লাগানো হয়।
তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শীতকালে জলাধারে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় পরিযায়ী পাখিদের আসা যাওয়া কমেছে। পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে পরিযায়ী পাখিদের ধরে রাখতে কী করা যায়, তা প্রশাসনকে দেখতে হবে।