attack

পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে স্ত্রী-শাশুড়িকে কোপ, বাঁকুড়ায় পুলিশের জালে অভিযুক্ত

পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তা সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী আশ্রয় নেন বাপেরবাড়িতে। সেখানেও চড়াও হয়ে স্ত্রী এবং শাশুড়িকে ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৪৭
Share:

স্ত্রী এবং শাশুড়ির উপর হামলা চালিয়ে গ্রেফতার যুবক। প্রতীকী চিত্র।

পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল আগেই। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বছর দুয়েক আগে স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁর বাপেরবাড়িতে। সেখানেও চড়াও হয়ে স্ত্রী এবং শাশুড়িকে ছুরি দিয়ে খুনের চেষ্টা করলেন স্বামী। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার ইন্দপুর থানার মহেশপুরে। আহত দু’জন ভর্তি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ১২ বছর আগে ইন্দপুরের মহেশপুর গ্রামের অতসী তন্তুবায়ের বিয়ে হয় বাঁকুড়ার ওন্দা থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ দাসের সঙ্গে। অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে অতসীকে বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন চাপ দিতে শুরু করে। তাতে রাজি না হওয়ায় বছর দুয়েক আগে অতসীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এর পর, অতসী দুই কন্যাকে নিয়ে বাপেরবাড়িতে আশ্রয় নেন। মঙ্গলবার রাতে সেখানে যান প্রদীপ। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে স্ত্রী এবং শাশুড়ির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রদীপ।

এর পর প্রদীপ ছুরি দিয়ে স্ত্রী এবং শাশুড়ির উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। অতসী এবং তাঁর মা টিঙ্কু তন্তুবায়কে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ প্রদীপকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ছুরিটিও। ধৃত প্রদীপকে বুধবার খাতড়া মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত প্রদীপকে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অতসীর ভাই অনিল তন্তুবায় বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই বোনের উপর অত্যাচার চালাত স্বামী প্রদীপ এবং তাঁর বাড়ির লোকজন। সে জন্য বোন আমাদের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে অতর্কিতে প্রদীপ আমাদের বাড়িতে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। ঘটনায় মা ও বোন গুরুতর আহত।’’

Advertisement

অভিযুক্তের আইনজীবী আশুতোষ দাস বলেন, ‘‘এই মামলায় প্রদীপ দাস ছাড়াও তাঁর বাবা এবং মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। প্রদীপ দাস নির্দোষ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement