গ্রুপ সি কর্মীদের চাকরী যাওয়ায় সমস্যায় স্কুল। ছবি সংগৃহীত।
নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে হাই কোর্টের নির্দেশে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে বহু স্কুলে বেশ কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি গিয়েছে। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে হাই কোর্টের নির্দেশে একই কারণে কাজ হারিয়েছেন বাঁকুড়া জেলার ৫৩ জন ‘গ্রুপ সি’ কর্মী। একে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আয়োজন, তার উপরে আর্থিক বছরের শেষ মাসে কাজের চাপও রয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন স্কুল।
গঙ্গাজলঘাটির অমরকানন দেশবন্ধু বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের কেন্দ্র হয়েছে। সেখানকার তিন জন গ্রুপ সি কর্মীর মধ্যে দু’জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই ওই স্কুলের দুই কর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে স্কুল। সেখানকার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অনুপ কুণ্ডু বলেন, ‘‘ওই দুই কর্মী ২০১৮ সালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার তাঁদের নিয়োগ বাতিলের ইমেল পাই। উচ্চ মাধ্যমিকের সময় সে কারণে সমস্যা হচ্ছে। করণিকদের স্কুলে অনেক কাজ থাকে। এক জন গ্রুপ সি কর্মী আছেন। শিক্ষকেরা নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে কাজ চালাচ্ছি।’’
বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকেও এক জন গ্রুপ সি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বামদেব মুখোপাধ্যায় জানান, অসুবিধা অবশ্যই হচ্ছে। সবার নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে। শেষ মুহূর্তে সেগুলি অন্যদের দিয়ে করাতে হচ্ছে।’’
তবে অন্য দের দায়িত্ব দিয়েও স্বস্তি যে নেই, সে কথা মানছেন সোনামুখী বি জে হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন চোংরে। তিনি বলেন, ‘‘এক জন গ্রুপ সি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকের সময় বিভিন্ন কাজ ভাগ করা থাকে। অনেক সময় তাদের হাতে নির্দিষ্ট ফাইল থাকে। তাঁরাই সেগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন। নতুন কেউ দায়িত্ব নিলে কিছু সমস্যা তো হবেই।’’ গঙ্গাজলঘাটির লটিয়াবনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল রায় বলেন, ‘‘এক জন গ্রুপ সি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এই সময়ে ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টাল ও কম্পিউটারে অনেক কাজ থাকে করণিকদের। তাঁরা তাতে অভ্যস্ত। যাঁকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁর তো প্রাথমিক কিছু সমস্যা হবেই।’’
বাঁকুড়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পীযূষকান্তি বেরা বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে উচ্চ মাধ্যমিক কেন্দ্র থাকা স্কুলগুলিতে বিকল্প কিছু ব্যবস্থাকরা যায়নি।’’