পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়ল শিমলা। ছবি: পিটিআই।
বড়দিনের আগেই বরফে ঢাকা পড়ল হিমাচলের বেশির ভাগ জায়গা। ভারী তুষারপাতের জেরে একের পর এক সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তুষারপাতের জেরে ১৭৭টি সড়ক বন্ধ, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি জাতীয় সড়ক রয়েছে। তার মধ্যে শিমলায় বন্ধ ৮৯টি সড়ক, কিন্নৌরে ৪৪ এবং মন্ডীতে ২৫টি। ঠান্ডায় ৬৮৩টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিলাসপুর, উনা, হামিরপুর এবং মন্ডীতে শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সোমবার থেকেই তুষারপাত শুরু হয়েছে হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্যে। শিমলা, কিন্নৌর, কুলু, চম্বা এবং লাহুল-স্পিতির বহু এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। এ ছাড়াও কুফরি, ফাগু, নারকন্ডা, ডালহৌসি, ছিটকুল, কল্পা, সাংলা, রকছম, গ্রাম্ফু, কোকসর, রোটাং, সোলং বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে। তুষারপাতের জেরে শিমলা, মানালি এবং ডালহৌসিতে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। সোমবার থেকে তুষারপাতের জেরে ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কুফরি, নারকন্ডায় তুষারপাতের কারণে রামপুর-শিমলা জাতীয় সড়ক স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
অন্য দিকে, ভারী তুষারপাতের জেরে বন্ধ রোহরু, খাড়াপাথ্থর, থিয়োগ, চৌপল মার্গ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে রোটাংয়ে। সেখানে ২০ সেন্টিমিটার তুষারপাত হয়েছে। তার পর রয়েছে শিকারি দেবী (১৫ সেমি), কুফরি (১২), শিমলা (১০)। শিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মানালিতে ১.৮ ডিগ্রি, সোলানে ১.৩। নারকন্ডা, রিকাং পিয়ো, কুকুমসেরি, কল্পা, সমদো এবং তাবোতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে। রাজ্যের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা তুষারপাত জারি থাকবে। সঙ্গে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে। একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সক্রিয় হচ্ছে। ফলে ২৭ এবং ২৮ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে আবার বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তুষারপাতের জেরে মানালিতে সোমবার থেকে আটকে বহু পর্যটক। সোলং এবং সিস্সুর মাঝে অটল টানেলে আটকে পড়ে হাজারখানেক গাড়ি। উদ্ধারে নেমে পুলিশ ৭০০ পর্যটককে উদ্ধার করে।