Satabdi Roy

বিদ্যুতের ‘নোবেল-মন্তব্য’ হেসে ওড়ালেন শতাব্দী, ‘বিজেপির ক্যাডার’ বলেও কটাক্ষ

বীরভূমের সাংসদের বক্তব্য, অমর্ত্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জমি দখলের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা আগে প্রমাণ করে দেখাতে হবে উপাচার্যকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫১
Share:

শতাব্দী রায়। ছবি: সংগৃহীত।

অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি-বিবাদ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘বিজেপির ক্যাডার’ বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। বৃহস্পতিবারই অর্থনীতিবিদকে নিশানা করেন বিদ্যুৎ। দাবি করেন, অমর্ত্য নোবেল পাননি! উপাচার্যের ওই মন্তব্যকে হেসে উড়িয়েও দিলেন শতাব্দী। পাশাপাশিই, বীরভূমের সাংসদের বক্তব্য, অমর্ত্যের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর জমি দখলের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা আগে প্রমাণ করে দেখাতে হবে উপাচার্যকে।

Advertisement

শুক্রবার বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। সেখানে নোবেলজয়ী অমর্ত্যের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এত বড় মাপের সম্মানীয় ব্যক্তি অমর্ত্যবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলা হচ্ছে! উপাচার্য যে দিন এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন, সে দিন এটা নিয়ে কথা বলবেন।’’ এর পরেই উপাচার্যকে সরাসরি নিশানা করে সাংসদ বলেন, ‘‘উনি বিজেপির ক্যাডার হিসেবে কাজ করছেন!’’

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ দাবি করেছিলেন, অমর্ত্য যে পুরস্কারটি পেয়েছেন, তা ‘নোবেল নয়’। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই হেসে ফেলেন শতাব্দী। হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘নোবেল পাননি! এটায় হাসি ছাড়া আর কোনও উত্তর নেই।’’ বিদ্যুতের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হেসেছেন অমর্ত্যও। যদিও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

অমর্ত্যের নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিদ্যুতের দাবি, নোবেল পুরস্কারের যে ডিড (উইল) তৈরি হয়েছিল, সেখানে বলা আছে ৫ জনকে নোবেল প্রাইজ় দেওয়া হবে। যে ৫টি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়ার কথা আছে, সেগুলি হল— পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য আর বিশ্বশান্তি। বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘এর বাইরে আর কারও নোবেল পাওয়ার কথা নয়। পরবর্তী কালে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এগিয়ে আসে। তাদের দেওয়া অর্থে অর্থনীতিতে একটা পুরস্কার চালু হয়। যার নাম ব্যাঙ্ক অব সুই়ডেন প্রাইজ় ইন ইকোনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল। সেটাকে নোবেল পুরস্কার বলা যাবে না।’’

উপাচার্য যে দাবি করেছেন, তা অবশ্য আজকের নয়। আগেই অনেকে এই দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, নোবেল পুরস্কার কমিটির ওয়েবসাইটে নোবেলজয়ীদের তালিকাতেই অমর্ত্যের নাম জ্বলজ্বল করছে। শুধু তা-ই নয়, যে যে বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই তালিকাতেও ‘অর্থনীতি’ রয়েছে। ১৯৬৮ সালে সুই়ডেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক পুরস্কারটি চালু করেছে ঠিকই। কিন্তু নোবেল কমিটি যেখানে অমর্ত্যকে নোবেলজয়ী হিসাবেই চিহ্নিত করেছে, তাই সেখানে অন্য কোনও যুক্তি বা তর্কের অবকাশ নেই!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement