উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানিয়ে বসন্ত উত্সব পালন পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।
পর পর দু’বছর কোভিড আবহে বসন্ত উৎসব বন্ধ হওয়ার পর এই বছরেও বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে হস্টেল খোলা-সহ একাধিক দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টির কথা বলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বসন্ত উৎসবের আয়োজন না করলেও বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের তরফে আয়োজন করা হল বসন্ত উৎসবের। উঠল ‘উপাচার্য হঠাও’ স্লোগানও।
দোলের দিন সকালে বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ থেকে মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবন পর্যন্ত আসেন পড়ুয়ারা। সেখানেই, বিশ্বভারতীর রীতি মেনে পালিত হয় শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব। আগের আড়ম্বর দেখা না গেলেও নিজেদের মধ্যেই দোল উৎসবে মাতলেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি স্লোগানও উঠল উপাচার্যের বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীর ইতিহাসে প্রথম বার বসন্ত উৎসবে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ গানের শেষে আবির মেখেই ‘উপাচার্য হঠাও’ স্লোগান উঠল।
ছাত্রছাত্রীরা জানান, কর্তৃপক্ষ বসন্ত উৎসব পালন না করলেও শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই এই প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন ছাত্র আন্দোলনের কারণে বসন্ত উৎসব হবে না। তাই তাঁরা নিজেরাই উপচার্যের বাড়ির সামনে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য বজায় রাখলেন।