রং কি শুধুই অঙ্গে লাগে? দোলের দিন রং মাখেন অনেকেই। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের যাপন দোল উৎসবের চেয়েও বর্ণময়। দোল উপলক্ষে চোখ রাখা যাক তেমন কয়েক জন তারকার জীবনে।
মদন মিত্র: ভোটের ময়দানেও আছেন, মিমেও আছেন! ‘ওহ লাভলি’ গানই হোক কিংবা বাহারি রোদচশমা, রঙিন পোশাক— মদন মিত্রের ব্যক্তিত্বের ছটা রাজনীতির জগত ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ে বহু দূর। আট থেকে আশি, নেটমাধ্যমে এই নেতার ভক্তের অভাব নেই। বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। কিন্তু শত বিতর্কের মাঝেও মদন ছাড়েন না নিজের আদবকায়দা।
মুনমুন সেন: সুচিত্রা-কন্যা যেন বাস্তব জীবনেও নায়িকা। মুনমুন সেনের কথা বলার কায়দা থেকে প্রেমজীবন নিয়ে গল্প, আজও আগ্রহ কমেনি অনুরাগীদের। কখনও বিকিনিতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, তো কখনও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা মন্তব্যে নজর কেড়েছেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায়: কখনও দলত্যাগ, তো কখনও গৃহত্যাগ। কখনও আবার নতুন ঘর, নতুন দল। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় শিরোনামে থেকেছেন নানা কারণে। বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে দিনের পর দিন সরগরম থেকেছে বাংলা। বৈশাখীর সঙ্গে গানের তালে তালে তাঁর নাচও হয়ে উঠেছে চর্চার বিষয়।
নুসরত জাহান: টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত নায়িকা। আবার সাংসদও। প্রেম, বিয়ে, মাতৃত্ব— নুসরত জাহানের সব পদক্ষেপই খবর। রাখঢাকে বিশ্বাসী কি তিনি? নুসরতের নেটমাধ্যমের পাতা তেমন ইঙ্গিত দেয় না। জীবন নিয়ে যে সোজাসাপ্টা থাকাই যায়, তা প্রায় প্রতি পোস্টে বোঝান ইশানের জননী। তবু তাঁর প্রাক্তন স্বামী থেকে বর্তমান সংসার নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই অনুরাগীদের।
রণবীর সিংহ: পর্দার বাজিরাও বাস্তবেও একাধিক বার ভক্তদের চমকে দিয়েছেন নিজের সাজ পোশাকে। কখনও ‘অ্যানড্রোজেনাস’ পোশাক, কখনও বা সোনালি ফয়েলে মোড়া জামাকাপড়ে নজর কেড়েছেন ভক্তদের। শুধু পোশাকই নয়, রণবীরের উদ্দীপনা রীতিমতো উপভোগ করেন ভক্তরা।
কঙ্গনা রানাউত: তিনি অভিনেত্রী। নানা চরিত্রে দেখা দেন রুপোলি পর্দায়। কিন্তু বাস্তবের কঙ্গনার বর্ণময় চরিত্র নিয়ে যেন বিতর্কের শেষ নেই। হৃত্বিক রোশন থেকে শুরু করে বলিউডের বিভিন্ন খ্যাতনামা কলাকুশলী, কঙ্গনার তোপের মুখে পড়তে হয়েছে অনেককেই। আবার অভিযোগ উঠেছে নেটমাধ্যমে মিথ্যাচার, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের। বিতর্ক গড়ায় এত দূর যে, চিরতরে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় টুইটার।
রাজ কুন্দ্রা: অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। আইপিএলে বেটিং কেলেঙ্কারি থেকে পর্ন চক্র, বার বার শিরোনামে এসেছে এই ব্যবসায়ীর নাম। করতে হয়েছে হাজতবাসও। তবু যখনই তিনি জনসমক্ষে দেখা দেন, যেন মেলে ধরেন নিজের নতুন রূপ।
বিরাট কোহলী: ২০০৮ সালে অভিষেকের পর বিরাটের দাড়ি, ট্যাটু আর মাঠের মধ্যে নাছোড় মনোভাব নজর কেড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। বোলারদের ধ্বংস করা ব্যাটিং ছাড়াও মাঠের মধ্যে বিরাটের নানা মুহূর্ত তৈরি করেছে রঙিন ছবি। কখনও মাঠের মধ্যে থেকে স্ত্রী অনুষ্কাকে চুমু ছুড়ে দেওয়া, কখনও দর্শকদের তাঁতিয়ে দেওয়া অঙ্গভঙ্গি। খেলার মাঠকে আরও রঙিন করে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সম্প্রতি মাঠের বাইরের বিতর্কও বিরাটের চরিত্রের অন্য রং তুলে ধরেছে।
রাখি সবন্ত: শেক্সপিয়রের ভাষায় বলতে গেলে, রাখির কাছে যেন গোটা দুনিয়াই এক মঞ্চ। কখনও প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, তো কখনও দীপিকার ‘মস্তানি’র চরিত্রর মতো পোশাকে তিনি পথে নামেন। কখনও আবার সারা গায়ে লিপস্টিক দিয়ে পছন্দের পুরুষের নাম লেখেন তিনি। এমনই নানা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন রাখি।
হার্দিক পাণ্ড্য: গলায় ভারী গয়না, বাহারি চশমা ও আদবকায়দা দেখে হার্দিক পাণ্ড্যকে তাঁর মুম্বইয়ের সতীর্থ পোলার্ড তুলনা করেছিলেন ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে। হার্দিককে নিয়েও শেষ নেই বিতর্কের। কর্ণ জোহরের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে কয়েক কোটির হাত ঘড়ি পরার জন্য বিমানবন্দরে হয়রানি, বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
রেখা: ‘সিলসিলা’-র সেই যুগ নেই। রুপোলি পর্দায় রেখা-অভিতাভের জুটি নেই। অভিনেত্রী এখন নায়িকাও নন। তবু রেখা রঙিন। তাঁর নাম কানে এলে এখনও যেন মুখরোচক কাহিনি খোঁজেন অনুরাগীরা। অভিনেত্রী যে এই ভাবমূর্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তা বলে দেবে কাঞ্জিভরমের সাজে দর্শকদের সামনে নিজেকে মেলে ধরার আদবকায়দা।