ফাইল চিত্র।
বালির অবৈধ কারবার রুখতে এবং আয় বাড়াতে জেলায় কিছু বালিঘাট লিজে দেওয়ার কথা ভাবছে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘাটগুলির মধ্যে পুরুলিয়ার ঝালদা এলাকার কয়েকটি ঘাটও রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন বালিঘাট থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও প্রশাসনের দাবি, নতুন বছর থেকে ই-চালান ব্যবস্থা চালু হওয়ায় অবৈধ কারবার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
পুরুলিয়া অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘বেআইনি বালির কারবার অনেকটাই রুখে দেওয়া গিয়েছে। তবে এখনও এমন কিছু ঘাট রয়েছে, যেগুলি থেকে অনুমতি ছাড়াই বালি তোলা চলছে। সেই ঘাটগুলিকে নিলামে দেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।’’
প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, বালিঘাটের বৈধ ‘লিজ হোল্ডারদের’ অনেকেই অবৈধ ভাবে বিভিন্ন বালিঘাট থেকে বালি তোলায় মদত যোগাচ্ছেন। এই অভিযোগ আসার পরেই বেশ কিছু বালিঘাট নিলামে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই প্রক্রিয়ায় বালির অবৈধ কারবার রুখে দেওয়া যাবে। আয়ও বাড়বে।’’
এ দিকে, বালির অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে কংগ্রেস। বালি পাচার রুখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝালদার বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালানো হয়েছে বলে ঝালদা-১ ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য রাজীবকুমার সাহু বলেন, ‘‘প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরাই বালি পাচার রুখতে রাস্তায় নেমেছি।’’
ওই আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, বালির দাম কমাতে হবে। বৈধ বালিঘাটগুলি অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে। মঙ্গলবার তুলিন এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনটি বালি বোঝাই ট্রাক্টরকে আটক করে তাঁরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাজীববাবু।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ওই গাড়ির চালকেরা বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরে গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়।