সিউড়ির রাস্তায় বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন। —নিজস্ব চিত্র।
জেলা সদরে পুজোর আগে ফের বোমা ফাটার ঘটনা। একের পর এক বোমা উদ্ধার ও ফাটার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরবাসীর মনে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। শনিবার রাতে সিউড়ির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রুটিপাড়া এলাকায় বোমা ছোড়ার দু’টি ঘটনা ঘটে। দিন কয়েক আগেই সিউড়ির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাতোড় পাড়ায় একটি ক্লাবের সামনে দু’টি বোমা ফাটে। তার ঠিক পরে পরেই ১১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদনিপাড়ায় ঝোপের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় একটি তাজা বোমা।
পুজোর মুখে এই তিন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে কেউ বা কারা। দ্রুত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন রুটিপাড়া এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা। বেরিয়ে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ স্কুলের কম-বেশি ১০০ মিটার দূরে দুই জায়গায় রাস্তায় বোমা ফাটার চিহ্ন দেখেন তাঁরা। তবে সেখানে কাউকে দেখা যায়নি।
রাতেই ঘটনাস্থলে আসে সিউড়ি থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে রবিবার সকালে এলাকায় পরিবেশ ছিল থমথমে। ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা তমালকৃষ্ণ দাস বলেন, “দু’দিন আগেই পাড়ায় বোমা উদ্ধার হয়েছে। শনিবার রাতে বোমা ফাটানো হল। আতঙ্কিত হওয়াই স্বাভাবিক। এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বাড়ছে। প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করায় হয়তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত।”
ডিএসপি (আইনশৃঙ্খলা) আখতার আলি বলেন, “১৩ নম্বর ওয়ার্ডে যেগুলি ফাটানো হয়েছে, সেগুলি বড় আকারের শব্দবাজি। এতে ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে বিষয়টিকে ছোট করে দেখছি না। কিছু লোক মানুষের মনে ভয় ঢোকাতে এই সব কাজ করছে। খুব দ্রুতই তাদের ধরে ফেলব। পুলিশ সুপারের নির্দেশ, কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।” পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে থানায় আনা হয়। তবে রবিবার বিকেল পর্যন্ত বোমা উদ্ধার বা বিস্ফোরণের তিনটি ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।