প্রায় ১০ বিঘা জমির মালিক কে, উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র।
আবারও সিবিআইয়ের নজরে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যার নামে বেশ কিছু সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তাঁরা। সরকারি চাকরি করার পাশাপাশি সুকন্যার ব্যবসাও রয়েছে। এ বিষয়ে বেশ কিছু নথি পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, এ বার বোলপুরের কাশীপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় তিনটি প্লটের উপর নজর রয়েছে তাদের। সব মিলিয়ে নজরে কাশীপুরের ১০ বিঘা জমি।
কাশীপুর বাইপাসের উপরে পর পর তিনটি প্লট রয়েছে। সব মিলিয়ে ওই জমির পরিমাণ প্রায় ১০ বিঘা। ওই জমির চার দিক পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। সামনে হলুদ রঙের লোহার গেটে ইংরেজি আদ্যক্ষরে লেখা ‘সিএম (মানা)’। প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রতের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামই কি সংক্ষেপে ‘সিএম’ করা হয়েছে? মানা-র অর্থই বা কী? এ সব যদিও স্পষ্ট নয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই জমিগুলি রয়েছে এএনএম অ্যাগ্রো, নীড় ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন সংস্থার নামে। সিবিআই তদন্তে আগেই উঠে এসেছে এই দুই সংস্থার নাম ও মালিকের নাম। জানা যায়, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা ওই দুই সংস্থার ডিরেক্টর।
কিছু দিন আগে বোলপুরে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিল সিবিআই। সেখানে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ নেন তদন্তকারীরা। সেখানে এই ১০ বিঘা জমিরও খোঁজ পান তাঁরা।
অন্য দিকে, স্থানীয়রাও জানাচ্ছেন, তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে শুনে আসছেন পাঁচিল ঘেরা ওই জমির মালিক অনুব্রত। তবে বিএলআরও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমি দু’টি সংস্থার নামে রয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই দুই কোম্পানির মালিকই সুকন্যা। সূত্রের খবর, বর্তমানে ওই জমির মালিকানার বিষয়ে বিশদ তদন্ত করতে পারে সিবিআই।
এ ব্যাপারে সুকন্যার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিন্হার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়।’’