—নিজস্ব চিত্র
গ্রীষ্মে ধুলো ওড়া খন্দপথে দু’চাকায় বা চার চাকা নিয়ে গেলে বরাদ্দ ছিল শুধুই ঝাঁকুনি। আর বর্ষা আসতেই বিষ্ণুপুর শহরের সেই খন্দপথগুলি যেন ডোবার চেহারা নিয়েছে। সেই ‘ডোবা’য় চাকা পড়লেই ছিটকে আসছে জল। সেই জল ছিটছে পথ চলতি মানুষের পাশাপাশি গাড়ির যাত্রীদের গায়েও। অনেক সময় গর্তের গভীরতা বুঝতে না পারায় মোটরবাইক দুর্ঘটনা ঘটছে।
দু-তিন আগের এক দুপুরের ঘটনা। মহকুমাশাসকের বাংলো ও শিশু উদ্যানের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তায় জল থাকায় গর্তের গভীরতা বুঝতে না পারায় পাল্টি খেলেন এক মোটরবাইক চালক। পথচারীরা তুলে ধরলেন তাঁকে। ওই বাইক চালকের ক্ষোভ, “প্রশাসনিক ভবনের গা ঘেঁষে যাওয়ার রাস্তার দিকেও নজর নেই প্রশাসনের!’’ ওই বৈলাপাড়া এলাকাতেই একটি পেট্রোল পাম্প লাগোয়া রাস্তার গর্তেও ভর্তি জল। একটি লরি যাচ্ছিল তেল ভরতে। গাড্ডায় চাকা পড়তেই ছলকে ওঠা জল ভিজিয়ে দিল এক কলেজ ছাত্রীর সালোয়ার-কামিজ। সাইকেল ঘুরিয়ে বাড়ি ফিরলেন ওই ছাত্রী।
বিষ্ণুপুর ব্লক অফিস যাওয়ার রাস্তাতেও একই অবস্থা। রাস্তার ঠিক মাঝেই জমা জল। পর্যটকরা ছিন্নমস্তা মন্দির দেখে লালগড় প্রকৃতি উদ্যানের দিকে পা বাড়ান। সেই পথের অবস্থাও তথৈবচ। সাব রেজিস্ট্রি এবং বিএসএনএল অফিসের পাশ দিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে গেছে একটি রাস্তা। দু’পাশের পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত। বাসিন্দারা বলছেন, “ওই দুই অফিসে আসা বাইরের বহু লোক এই পথ ব্যবহার করেন। মেরামতির নামগন্ধ নেই।’’ বিষ্ণুপুরের উপ-পুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “সম্প্রতি শহরের বেশ কিছু রাস্তায় কাজ হয়েছে। এখনও শহরের ভিতরে বহু জায়গায় পাইপ লাইনের কাজ চলছে। খোঁড়াখুড়ির জন্য সে-সব রাস্তায় কাজ করা যায়নি। পাইপ বসানোক কাজ শেষ হলেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলি মেরামতির কাজ শুরু হবে।’’