Televison Controversity

বাড়িওয়ালার সঙ্গে অশান্তি, সেখানেও হাজির গিল্ড? কেশসজ্জা শিল্পীর অভিযোগ নস্যাৎ করল কমিটি

কাজের দুনিয়াতে নাকি আর সীমাবদ্ধ থাকছে না হেয়ার ড্রেসার গিল্ড। ব্যক্তিগত পরিসরেও ঢুকে পড়ে নাকি হুমকি দিচ্ছেন সংগঠনের সদস্য! অভিযোগ কেশসজ্জা শিল্পীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত।

ফের কাঠগড়ায় হেয়ার ড্রেসার গিল্ড। আবারও অভিযোগকারিণী এক কেশসজ্জা শিল্পী। এর আগে কেশসজ্জা শিল্পী তনুশ্রী দাসের অভিযোগ ছিল, মিথ্যে অপবাদ দিয়ে একের পর এক কাজ কেড়ে নিচ্ছেন সংগঠনের কমিটির ১১ সদস্য। এ বার কেশসজ্জা শিল্পী মুনমুন দত্তের অভিযোগ, ব্যক্তিগত পরিসরেও ঢুকে পড়ছে গিল্ড। পারিবারিক সমস্যায় হস্তক্ষেপ করছেন কমিটির সদস্যরা। তাঁর অভিযোগের তির কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রাবণী দত্ত, সীমা ঘোষের বিরুদ্ধে। দাবি, বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের অশান্তিতে ঢুকে পড়েছেন শ্রাবণী। মারধরও করেছেন অভিযোগকারিণীকে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই মুনমুন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কথা বলেছেন স্থানীয় কাউন্সিলরের সঙ্গেও। কী নিয়ে এত সমস্যা? খবর পেয়ে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিযোগকারিণীর কথায়, “আগে ৮৮ নং ওয়ার্ডে থাকতাম। সম্প্রতি, ৯৭ নং ওয়ার্ডে ফ্ল্যাট কিনে চলে আসি। দু’টি ওয়ার্ড টালিগঞ্জের অন্তর্গত। কাজের সুবিধের জন্যই বাড়িবদল।” প্রথমে এই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। পরে ফ্ল্যাটটি কিনে নেন। ফ্ল্যাট কেনার পরেই সমস্যার সূত্রপাত নীচের ‘কমন প্লেস’ নিয়ে। বাড়িওয়ালা, ভাড়াটে— উভয়েরই বাইক রয়েছে। কে, কোথায় দ্বিচক্র যান রাখবেন বচসা শুরু সেই নিয়ে। এর পরেই বাড়িওয়ালা নাকি ‘দিদি’র পরিচয় দিয়ে হেয়ার ড্রেসার গিল্ড কমিটির শ্রাবণীর কাছে নালিশ জানান মুনমুনের নামে। অভিযোগকারিণীর বক্তব্য অনুযায়ী, “৫-৬ জন ছেলে নিয়ে শ্রাবণী আসেন। আমায় মারধর করেন। আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হুমকিবার্তা দিয়েছেন, “পাড়ায় গিয়ে তোকে দেখে নেব!” বিস্মিত মুনমুনের প্রশ্ন, “এত দিন বাড়িওয়ালার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকলাম। শ্রাবণী যে ওঁর দিদি জানতেই পারলাম না!”

মুনমুন এর পরেই পুরো ঘটনা জানান ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে। তাঁর পরামর্শে ৯৭ নং কাউন্সিলর মলয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারিণীকে কি কোনও রকম আশ্বাস দিয়েছেন তিনি? প্রশ্নের জবাবে মুনমুন জানিয়েছেন, কাউন্সিলর শ্রাবণীকে প্রশাসনের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তার পর বিষয়টি তিনি দেখবেন।

Advertisement

কী বলছেন বিরোধীপক্ষ? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল সীমা ঘোষ, শ্রাবণী দত্ত এবং মূল অভিযুক্তের (নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক) সঙ্গে। সীমা বিষয়টি নিয়ে কোনও বক্তব্য জানাননি। কথা বলেছেন শ্রাবণী এবং মূল অভিযুক্ত। শ্রাবণীর কথায়, “পুরোটাই মিথ্যে বলছেন মুনমুন। বাড়িওয়ালা আমার ভাই। এক তলার ফ্ল্যাট কিনেছেন কেশসজ্জা শিল্পী। বাইক রাখা নিয়ে নিত্য অশান্তি। এক দিন সেই বচসার জেরেই আমার জেঠিমার গায়ে হাত তোলেন মুনমুন। তখনই ভাই আমায় ডেকে আনে।” তিনি আরও জানান, বিষয়টির সঙ্গে কোনও ভাবেই গিল্ড বা গিল্ডের বাকি সদস্য কিংবা কমিটির সদস্যরা জড়িত নন। অভিযোগকারিণী সবাইকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসাতে চাইছেন। এও বলেছেন, “তনুশ্রী দাসকে নিয়ে ঘটনাটি ঘটার পর যে পারছে আমাদের মিথ্যে বদনাম করছে।” তনুশ্রী দাসের মতোই মুনমুনও এই ঘটনার জেরে কাজ হারানোর ভয় পাচ্ছেন... কথা তুলতেই শ্রাবণীর দাবি, কেউ মিথ্যে অপবাদ দিলে তাঁদের কিছু করার নেই।

অভিযুক্তের কথা অনুযায়ী, “ফ্ল্যাট কেনার পর থেকেই অভিযোগকারিণী প্রত্যেক দিন গেটের মুখে বাইক রাখতে শুরু করে দেন। যাতায়াতের অসুবিধা হয়। আমরা অনেক বার ওঁকে বারণ করেছি, শোনেননি। মঙ্গলবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় একেই ঘটনা ঘটলে তার থেকে বচসা বাঁধে। তখনই তিনি অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করেন, আমার মাকে ধাক্কা মারেন। আমাদের আটকে রাখারও হুমকি দেন। আমরা ওঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ”

এই ঘটনায় ফেডারেশন সভাপতির ভূমিকা জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল স্বরূপের সঙ্গেও। স্বরূপ বলেছেন, “ঘটনাটি সবিস্তার জানি না। জেনে তার পর মতামত জানাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement