কাঁসরার কাছে ঝালদা থেকে ব্রজপুর যাওয়ার রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র।
এক কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে, পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধে শামিল হলেন এলাকার শতাধিক বাসিন্দা। শনিবার সকাল ৭টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পুরুলিয়ার ঝালদা থেকে ব্রজপুর যাওয়ার রাস্তায় কাঁসরা গ্রামের কাছে অবরোধ চলে।
গত ২৬ এপ্রিল সকালে কাঁসরা গ্রামের একটি কুয়ো থেকে স্থানীয় কিশোর বছর ষোলোর ইন্দ্রজিৎ কর্মকারের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, মৃতের পরিবারের থেকে লিখিত অভিযোগ না পেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়। ময়না-তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছিল পুরুলিয়া মেডিক্যালের মর্গে। রিপোর্ট এখনও আসেনি। জেলা পুলিশের একটি সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। এ দিকে, মৃত কিশোরের বাবা কালীচরণ কর্মকার বলছেন,‘‘আমার ছেলেকে খুন করে কুয়োয় ফেলা হয়েছে।’’ ঝালদা থানায় লিখিত ভাবে জানালেও তা জমা নিয়ে কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও সে অভিযোগ মানতে চায়নি পুলিশ।
এ দিন কাঁসরা গ্রামের আশুতোষ মাহাতো, চঞ্চলা লোহার ও জ্যোৎস্না কুইরি বলেন, ‘‘ছেলেটাকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পিছনে যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ পুলিশকর্মীরা চেষ্টা করেও তাঁদের বোঝাতে পারেননি। বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ অবরোধস্থলে যান আইসি (ঝালদা) সঞ্জীব ঘোষ। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। পেলেই তার ভিত্তিতে মামলা রুজু হবে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষা করা হচ্ছে।’’